রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বহু তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখছেন। নিজের দাবিতে অনড় বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শনিবার গেরুয়া শিবিরের হেস্টিংসের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব ‘ডিসকো ডান্সারে’র সাফ জবাব, “ভিত্তিহীন কথা আমি বলি না। ব্যাক রয়েছে তাই আমি বলছি। আবার বলছি, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, রাখছে, রাখছে (তৃণমূল বিধায়করা)।” তিনি যখন এই দাবি করছেন, সেই সময় তাঁর পাশেই বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
হেস্টিংস অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বলিউডের তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’র দাবি, “অপেক্ষা করুন। সবই দেখতে পাবেন। আমি ভিত্তিহীন কথা বলি না। এক্ষেত্রেও বলছি না।” প্রসঙ্গত, ২৭ জুলাই কলকাতায় এসেছিলেন মিঠুন। সেদিন সাংবাদিকদের সামনে বলিউড-টলিউড কাঁপানো অভিনেতা দাবি করেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ রাখছে। ২১ জন তো সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।” এদিনও তাঁর সেই দাবিতে অনড় রইলেন তারকা -নেতা। একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে নগদ, সোনা উদ্ধার নিয়েও কটাক্ষ করেন মিঠুন। তাঁর কথায়, “জন্মে এত টাকা দেখিনি। রোজগারও করিনি।”
মিঠুনের এই দাবিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “উনি তো একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন বলতেন। তারপর সিবিআই-ইডির ভয়ে দল বদল করলেন। উনি এখনও বিজেপিতে আছেন? মন থেকে আছেন কিনা বলতে পারব না। বিজেপিকে সান্ত্বনা দিতে এসব বলছেন মিঠুন।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন জেতার দাবি জানিয়েও ৭৭ -এ থেমে গিয়েছিল পদ্মশিবিরের দৌড়। এরপর শুরু হয় দলবদলের পালা। ইতিমধ্যে সাত বিধায়ক এবং এক সাসংদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকে পা বাড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, “দরজা খুললে দলটা (বিজেপি) উঠে যাবে।” এবার সেই দাবিরই পালটা দিয়েছিলেন ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’। বাংলায় দলবদলের আবহে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে মিঠুনের মন্তব্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.