সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়: দমদম থেকে গড়িয়ার দিকে ছুটছে মেট্রো। কিন্তু একটি কামরায় দরজার মাঝে প্রায় ইঞ্চি খানেক ফাঁক! তাতে আটকে একটি খালি জলের বোতল। বরাতজোরে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা।
কখনও সুড়ঙ্গ পথে আগুন, তো কখনও আবার যান্ত্রিক গোলযোগ। শহরে মেট্রো যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এমনকী মেট্রোর কামরায় দরজাগুলিও যে সচল, এমনটা নয়। যাত্রীদের অভিযোগ, হামেশাই কোনও না কোনও স্টেশনে স্রেফ দরজা ঠিকমতো না খোলার জন্য ব্যাহত হয় পরিষেবা। ফের মেট্রোর দরজা নিয়ে ঘটল বিপত্তি, কিন্তু এবার আর ট্রেন থামল না! রাতের মেট্রোয় জড়াল আতঙ্ক। যাত্রীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে মাস্টারদা সূর্য সেন স্টেশনে মেট্রোর একটি কামরার দরজার দুটি পাল্লার মাঝে আটকে যায় একটি প্লাস্টিকের বোতল। এক্ষেত্রে কামরার দরজা বন্ধ হওয়ার কথা নয়, বরং সেটি ফের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। অর্থাৎ দরজা খুলে যাবে। কারণ মেট্রোর দরজায় সেন্সর লাগানো থাকে। তাই স্টেশন এলে আপনা থেকে দরজা খোলে আবার ট্রেন ছাড়ার আগে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। দমদম থেকে গড়িয়াগামী মেট্রোর যাত্রীরা জানিয়েছেন, মাঝে বোতল আটকে থাকলেও, কামরার দরজা পুরোপুরি খুলে যায়নি। বোতল পর্যন্ত এসে দুটি পাল্লাই আটকে যায়। স্বাভাবিকভাবে মেট্রো দরজার মাঝে প্রায় ইঞ্চি খানেক ফাঁক থেকে যায়। যথারীতি ট্রেনও পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত গীতাঞ্জলি স্টেশনে পৌঁছলে ফের মেট্রোর দরজা খোলে এবং বোতলটি নিচে পড়ে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন যাত্রীরা।
এদিকে মঙ্গলবার ফের ব্যাহত হল মেট্রো পরিষেবা। সন্ধ্যায় যখন বৃষ্টি নামে শহরে, তখন প্রায় চল্লিশ বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচলও। অফিস থেকে ফেরার পথে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। শোনা যাচ্ছে, কবি সুভাষ স্টেশনের দিকে মেট্রো লাইনে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াতেই বিপত্তি ঘটে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.