ফাইল ফটো
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হিসাব বহির্ভূত এক কোটি টাকা ভোটের কাজের জন্যই কলকাতায় আসছিল বলে জানতে পেরেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এই টাকা ভিন রাজ্য থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে শহরে ঢুকেছিল।
সেই টাকা কার কাছে যাচ্ছিল, কোথায় যাচ্ছিল এবং কোন রাজনৈতিক দলের ব্যবহারের জন্য এসেছিল তা তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এর জন্য ধৃত চারজন হাওয়ালা ব্যবসায়ীকে লালবাজারে মুখোমুখি বসিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই দফায় দফায় জেরা শুরু হয়। জেরার পর শুক্রবার ধৃতদের হাজির করা হয় আদালতে। বিচারক তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ধৃত হাওয়ালা ব্যবসায়ী অজয় সরোগি ২০১৮ সালেও গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরও এক হাওয়ালা ব্যবসায়ী রাজুকে। চারজনের মধ্যে শুধুমাত্র স্ট্র্যান্ড রোড অফিস থেকে ধৃত ব্যবসায়ী গৌরব প্রজাপতির অফিসেই পাওয়া গিয়েছে ৬৪ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, ভোটের আগেই শহরজুড়ে হিসাব বহির্ভূত বেআইনি টাকা উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযানে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই বড়বাজার, পোস্তা-সহ শহরের ১২টি জায়গায় এই গোয়েন্দা হানা চলে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় হিসাব বহির্ভূত এক কোটি টাকা। গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। এর আগেও প্রথম দফার ভোট শুরু হতেই এই ধরনের অভিযানে নেমেছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এই অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হয় হিসাব বহির্ভূত কয়েক কোটি টাকা ও জাল নোট। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল একাধিক ব্যক্তিকে। সেই অভিযান এদিন ফের শুরু করেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা হানা চলে বড়বাজার, পোস্তা, বউবাজার,
জোড়াবাগান-সহ মোট ১২টি জায়গায়। ওই দেদার টাকা রাখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় হাওয়ালা ব্যবসায়ী গৌরব প্রজাপতি, অজয় সারগি, মনোজকুমার সিং ও রাজেশকুমার বৈদ্যকে। তাদের বাড়ি ছাড়াও গোয়েন্দারা তল্লাশি চালান অফিসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.