নিরুফা খাতুন: আলিপুর চিড়িয়াখানায় জলাশয়ে খেলা করবে সিল মাছ। সেজন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে চিড়িয়াখানার জলাশয়। দেড়শো বছর উপলক্ষে দর্শকদের জন্য আলিপুরে অনেক নতুন অতিথি এসেছে। আরও বেশ কিছু সদস্য নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। সেই তালিকায় রয়েছে সিল। সামুদ্রিক এই প্রাণীকে খুব শীঘ্রই আলিপুরে দেখা যাবে বলে চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর। যদিও জানা গিয়েছে, আটের দশকে চিড়িয়াখানায় দু’টি সিল আনা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় সেগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়নি। আসলে সিল বাঁচানোর জন্য যা পরিকাঠামোর দরকার, তা মজুত নেই আলিপুরে। সেই ঘাটতি পূরণ হয়েছে কিনা, তা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠেছে।
সিল সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী। সিল সাধারণত শীতপ্রধান অঞ্চলে দেখা যায়। আন্টার্কটিকা মহাসাগরের শীতল জলে সিলদের বাস। তবে আলিপুরের নিয়ে আসা হবে মঙ্ক সিল বা সন্ন্যাসী সিল। এরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বাস করে। এদের দেহ সরু। এদের কান থাকে না। হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব আটলান্টিক এবং ভূমধ্যসাগরের কিছু অঞ্চলে এবং পূর্বে পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। বর্তমানে এরা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, এখানে উষ্ণ আবহাওয়া। এই আবহাওয়ায় একমাত্র মঙ্ক সিল থাকতে পারবে। দুটি জলাশয় রয়েছে। তার মধ্যে একটি জলাশয়ে মঙ্ক সিলের বাসস্থান করার কথা রয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী মরশুমের আগেই সিল চলে আসবে।
আলিপুরে আবাসিকদের সংখ্যা কম নয়। বাঘ, ভল্লুক, সিংহ, জিরাফ, শিম্পাঞ্জি সবই রয়েছে। আলিপুরে দুটি বড় জলাশয় রয়েছে। একসময় এই জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমাত। পরিযায়ী পাখিদের দেখতে জলাশয়ের পাড়ে দর্শকদের ভিড় আছড়ে পড়ত। বহু বছর ধরে পরিযায়ী পাখিরা আলিপুরমুখী হচ্ছে না। ফাঁকা পড়ে রয়েছে জলাশয় দুটি। সামুদ্রিক সিল মনোরঞ্জন করতে পারে ভালো। জলে তারা নানা ভেলকি দেখায়। সিল এলে চিড়িয়াখানার জলাশয়ও দর্শক টানবে। পাশাপাশি আলিপুরের শোভাও আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.