ফাইল ছবি
সুব্রত বিশ্বাস: পাঁচটি প্ল্যাটফর্মে বন্ধ ট্রেন চলাচল। বাতিল বহু লোকাল ট্রেন। তার ফলে শিয়ালদহে স্টেশনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে। স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। গন্তব্যে পৌঁছতে চরম ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে স্টেশনে পৌঁছেও ভিড় ট্রেনে উঠতে পারলেন না কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। যদিও রেলের তরফে দাবি, “পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সব ঠিকঠাকই রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার রাত বারোটা বাজতেই একেবারে সেনাপতির মুডে কাজ শুরুর নির্দেশ দেন পূর্ব রেলেন জিএম মিলিন্দ কে দেওসকর। আর সেই নির্দেশমতো শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে ওভারহেডের তার টানা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে রাতদিন।
আলোর রোশনাই এতটাই জোরালো যে, রাতদিনের ফারাক বোঝাই মুশকিল। জিএমের সঙ্গে এজিএম, ডিআরএম-সহ সব বিভাগীয় জোনাল ও ডিভিশনাল আধিকারিকরা যে যাঁর বিভাগীয় কাজকর্মের তদারকি করছেন। কাজে নিযুক্ত অন্তত ৬০০ শ্রমিক। প্রথম পর্যায়ে নন ইন্টরলকিংয়ের কাজ চলবে চব্বিশ ঘণ্টা ধরে। এর পর ইন্টারলকিংয়ের কাজ।
বাতিল একের পর এক লোকাল ট্রেন। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। তবে ভোগান্তির জন্য রেলকেই দায়ী করেছেন যাত্রীরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, প্ল্যাটফর্ম সংস্কারের জন্য ঠিক কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আর কোন ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে, তা কর্তৃপক্ষের তরফে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। সে কারণেই বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বাতিল সিউড়ি মেমু। শিয়ালদহগামী লালগোলাকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা স্টেশনে। শুক্রবার থেকে একটি ছাড়া সব বারাকপুর লোকাল বাতিল। রবিবার পর্যন্ত ১০টি ডানকুনি লোকাল, দুটি বারুইপুর, একটি কাটোয়া, এগারোটি নৈহাটি, ১৪টি রানাঘাট, দুটি কৃষ্ণনগর, ২টি মধ্যমগ্রাম, দুটি দমদম, ৮টি বারাসত, দুটি দত্তপুকুর, ২টি বনগাঁ লোকাল বাতিল। এই তিনদিন কল্যাণী সীমান্ত যাবে কল্যাণী পর্যন্ত। সোমবারও সিউড়ি মেমু বাতিল ঘোষণা করেছে পূর্ব রেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.