দীপঙ্কর মণ্ডল: স্কুল (School) খোলার প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার। তবে ক্লাস চালুর আগে স্কুল পড়ুয়াদের আধার নথিভুক্তির কাজ শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার জেলা স্কুল পরিদর্শকদের এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষাদপ্তর। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ১, ৪, ৫, ৭ ও ৮ অক্টোবর স্কুল পড়ুয়াদের আধার নথিভুক্তি করা হবে। মূলত নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই উদ্যোগ।
দপ্তরের সচিব জানিয়েছেন, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ শুরু হচ্ছে। পুজোর পর পুরোপুরি আধার নথিভুক্তির কাজ চলবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুজোর পর স্কুল খুলবে। মাঝে অল্প কিছুদিন নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস ছাড়া টানা দেড় বছর কোভিডের কারণে স্কুল বন্ধ। মাঝে আমফান এবং যশের মত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। বেশকিছু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে জেল্লা হারিয়েছে বহু স্কুল। সাফাই এবং সংস্কারের জন্য স্কুলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের জন্য সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। উচ্চপ্রাথমিক স্কুল ২ লক্ষ ও প্রাথমিক স্কুলের শ্রেণিকক্ষ মেরামত করতে বরাদ্দ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা।
বাংলার শিক্ষা পোর্টালে সার্ভে রিপোর্ট চেয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। কোনও চেয়ার ভেঙে গেলে তা সরাই করতে প্রত্যেকটির জন্য দেওয়া হবে এক হাজার টাকা। প্রতি টেবিল সারাতে স্কুল পাবে ২ হাজার টাকা। প্রতি বেঞ্চের জন্য দেওয়া হবে ২৫০০ টাকা। স্কুলের ক্যাম্পাস সাফাই এবং স্যানিটাইজেশন–এর জন্যও আলাদা টাকা দেওয়া হবে। এই খাতে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল পাবে ৫ হাজার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল পাবে ১০ হাজার টাকা।
কোনও স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নাঘর খারাপ হলে তা মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে পারবে স্কুল। শৌচাগার সাফাই বা সংস্কারে বরাদ্দ হবে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। পানীয় জলের জন্য সাবমারসিবল বা হ্যান্ড পাম্প মেরামতে স্কুল ৫০ হাজার টাকা চাইতে পারবে। এছাড়া স্কুলের ইলেকট্রিক লাইন মেরামতিতে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হবে। সমস্ত তথ্য পূরণ করে ছবি-সহ পোর্টালে আপলোড করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.