অর্ণব আইচ: চিৎপুর লকগেটের কাছে স্কুলবাস দুর্ঘটনা। আহত অন্তত ২৫ জন। যার মধ্যে ২০জনই স্কুলপড়ুয়া। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালগুলিতে ভরতি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, কারও কারও আঘাত কিছুটা গুরুতর। তাদের চিকিৎসা চলছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন স্কুলবাসের চালকও। দুর্ঘটনার জেরে ওই এলাকার রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে।
সোমবার সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ, চিৎপুর লকগেটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল একটি স্কুলবাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এসময়ে ঘিঞ্জি এলাকার রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে একটি লরি বালি বোঝাই করছিল। স্কুলবাসটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সোজা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপরই বাসটি উলটে যায়। গুরুতর জখম হন চালক। বাসটি দুমড় মুচড়ে গিয়েছে। বাসে প্রায় ২৫ জন পড়ুয়া ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তারা সকলেই অল্পবিস্তর চোট পেয়েছে।
খবর পেয়ে শ্যামবাজার ট্রাফিক পুলিশ গিয়ে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ১০ জন পড়ুয়া এখনও ভরতি হাসপাতালে। বেশিরভাগেরই মাথা, আঙুলে চোট লেগেছে। তবে শারীরিক আঘাত তেমন না হলেও, কিশোর বয়সের পড়ুয়ারা মানসিকতভাবে আঘাত পেয়েছে। স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে কেউ কেউ আতঙ্কে ভুগছে। ঠিকমতো কথাও বলতে পারছে না। কোনওক্রমে তারা জানাতে পেরেছে যে বেশ দ্রুতগতিতে চলছিল স্কুলবাসটি। তার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান অভিভাবকদের।
দুর্ঘটনার পর চিৎপুরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে সরাতে না পারায় অন্যান্য গাড়িও সেখান দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। টালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই চিৎপুর লকগেটের ব্রিজ দিয়েই ভারী গাড়িগুলি যাতায়াত করছে। কিন্তু আজকের দুর্ঘটনার জেরে পরিবহণ আপাতত একেবারে থমকে গিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার যানজট কাটিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর চেষ্টা করছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বোঝার চেষ্টা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.