ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। তারই মাঝে এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্পিকারের কাছে শপথ নিতে চাওয়ার আর্জি জানালেন তিনি।
সায়ন্তিকা বলেন, “আমি জয়ী হওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমার হাতে মাত্র দেড় বছর সময় রয়েছে বরানগরের মানুষের জন্য কাজ করে দেখানোর। এখনও শপথ নিতে না পারায় বিধায়ক হিসাবে কাজ শুরু করতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি। এখান থেকেই আমাকে কাজ করতে হবে। তাই আমি চাই স্পিকার আমাকে শপথগ্রহণ করান। আমি রাজ্যপালকে চিঠি লিখে সেই বিষয়ে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছি।”
উল্লেখ্য, এর আগে সায়ন্তিকা ও রেয়াত হোসেনের শপথ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তার কোনও উত্তর আসেনি। গত শনিবার রাজ্যপালের তরফে আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে দুই ভাবী বিধায়ককে। বরানগরের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পেয়েই যোগাযোগ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কেন হঠাৎ আলাদা করে বিধায়কদের চিঠি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া চিঠির বয়ানেও আপত্তি তুলেছে পরিষদীয় দল। যদিও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারের দাবি, তিনি আমন্ত্রণ পাননি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেশ কিছুক্ষণ স্পিকারের সঙ্গে কথাবার্তাও হয় তাঁর। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার মনে হয় নতুন বিধায়কদের শপথ নিতে না পারার জন্য রাজভবনের ভূমিকা রয়েছে। বিধায়কদের শপথগ্রহণ একটি সাংবিধানিক পরম্পরা। আমাদের দুর্ভাগ্য এসব দেখতে হচ্ছে। রাজ্যপাল যদি আগ্রহী হন, তা হলে উনি বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে যান, আমরা সব বন্দোবস্ত করে দেব। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। লোকসভা উপনির্বাচনে জয়ী কোনও সাংসদকে রাষ্ট্রপতি শপথগ্রহণ করেছেন এমন আমার জানা নেই।’’ দুই সদ্য নির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জট কবে কাটবে, সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.