রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: হেমতাবাদের দলীয় বিধায়ক মৃত্যুতে খুনের অভিযোগে সরব বিজেপি। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে বনধ পালন করেছে গেরুয়া শিবির। সিবিআই তদন্তের দাবিতে বুধবার রাজ্যের থানায় থানায়, কমিশনারেটে স্মারকলিপি জমা ও বিক্ষোভ প্রদশর্নের কর্মসূচি ছিল রাজ্য বিজেপির। এদিন লালবাজারে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়ে গেট থেকেই ফিরতে হল যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে (Saumitra Khan)। কলকাতা পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লেঠেল বাহিনী’ বলে কটাক্ষ করে সাংসদ এদিন বলেন, ‘এনারা ঢুকতে দিতে চান না তা নয়। কিন্তু ভয় পেলেন, যদি মুখ্যমন্ত্রী বদলি করে দেন।’
এদিন কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার জন্য আরজি জানিয়েছিলেন যুব মোর্চা সভাপতি। কিন্তু অনুজ শর্মা তাঁর ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ। তারপর ডিসি ডিডিকে (অপরাধ দমন) ফোন করে দেখা করার কথা বলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনিও নাকি দেখা করতে চাননি। শেষে লালবাজারের গেট থেকেই ডেপুটেশন রিসিভ করিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘সিপির সময় নেই দেখা করার। ফোন ধরেননি আমার। ডিসি ডিডিও ভয়ে দেখা করলেন না। গেট থেকেই রিসিভ করালাম ডেপুটেশন।’ কলকাতা পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লেঠেল বাহিনী’ বলে কটাক্ষ করে সাংসদ এদিন বলেন, ‘এনারা ঢুকতে দিতে চান না তা নয়। কিন্তু ভয় পেলেন, যদি মুখ্যমন্ত্রী বদলি করে দেন।’
সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র নেতৃত্বে এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দল যায় লালবাজারে। ভিতরে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায় গেটেই চিঠি রিসিভ করিয়ে ফিরতে হল সৌমিত্র খাঁকে। বিধায়ক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও ছিল বিজেপির। এদিকে, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত সিআইডি করছে। ঘটনার সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind) চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সেই চিঠি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)। রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.