ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারী-সহ (Suvendu Ahikari) একাধিক দলবদলকারী নেতা-নেত্রীর তালিকায় কি নাম জুড়ছে শতাব্দী রায়ের? তিনিও কি যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে? গত বৃহস্পতিবার থেকে এই জল্পনাতেই সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা নানা জল্পনার পর অবশেষে মিলেছে সমাধানসূত্র। দলবদল করছেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বীরভূমের তিনবারের সাংসদ। আর সিদ্ধান্ত বদলের পরই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। তাঁকে রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব দিল ঘাসফুল শিবির। একই দায়িত্ব পাচ্ছেন মালদহের মোয়াজ্জেম হোসেন এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের শংকর চক্রবর্তীও।
দলে নতুন পদ পেয়ে বেজায় খুশি শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। তিনি বলেন, “আমি বরাবরই কাজ করে এসেছি। ভবিষ্যতে আরও ভালভাবে কাজ করতে চাই। আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। দায়িত্ব পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের কাছে কৃতজ্ঞ।” গত বৃহস্পতিবার ‘শতাব্দী রায় ফ্যান ক্লাব’ পেজে দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেছিলেন তারকা তৃণমূল সাংসদ। দলীয় শীর্ষনেতৃত্বকে সমস্যার কথা জানিয়েও বিশেষ লাভ হয় না বলেই দাবি করেছিলেন। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান বদল করে শতাব্দী বলেন, “কী কী সুবিধা-অসুবিধা হচ্ছে, জানালে দল তা শোনে, এটাই তার প্রমাণ। হয়তো আগে সঠিক জায়গায় যেতে পারিনি বলেই সমস্যার সমাধান হয়নি।”
কথা ছিল, শনিবার দিল্লি যাবেন শতাব্দী রায়। সেখানে ‘পরিচিত’ অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনাও এড়িয়ে যাননি তিনি। যার ফলে জল্পনা আরও গভীর হয়েছিল। তবে শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন শতাব্দী। সপরিবারে গোয়ায় ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। শতাব্দী দলবদল করবেন না বললেও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) এখনই তা মানতে নারাজ। একদিন না একদিন গেরুয়া শিবিরে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ নাম লেখাবেন বলেই দাবি তাঁর। যদিও সৌমিত্রর প্রতিক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট শতাব্দী। তিনি বলেন, “তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব। আমার সম্পর্কে বলার দায়িত্ব সৌমিত্রকে দিইনি।” তৃণমূল সাংসদের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া গেরুয়া শিবির থেকে পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.