সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের কোনও যুক্তিই ধোপে টিকল না। বকেয়া ডিএ তো মেটানোই শুধু নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরও মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিল স্যাট। বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ জানিয়েছেন, বকেয়া ডিএ নিয়ে তিনমাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী খরচে দুর্নীতি নিয়ে সরব মমতা! সর্বদল বৈঠকের দাবিতে চিঠি মোদিকে]
দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ছে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের। দীর্ঘদিন ধরেই ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতাও বকেয়া। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই পোস্টাল ব্যালেটে হেরেছে শাসকদল। শুক্রবার ডিএ মামলায় স্যাট বা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালেও মুখ পড়ল রাজ্য সরকারের। বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতোই যদি রাজ্যের কর্মচারিরা ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা না পান, তাহলে বৈষম্য হবে। এক বছরের মধ্যে কিংবা ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু হওয়ার আগে, যেটা আগে হবে, সেই সময়ের মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কীভাবে মেটানো হবে? তা ঠিক করার জন্য রাজ্য সরকারকে তিনমাস সময় দিয়েছে স্যাট। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া থাকলেও, নির্দিষ্ট সময়ে অন্তর নিয়মিত মহার্ঘ ভাতা পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। ফলে ডিএ-র ফারাকও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের থেকে ২৯ শতাংশ বেশি মহার্ঘ ভাতা পান।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে স্যাটে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। সেই মামলার শুনানিতে বলা হয়েছিল, ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা আইনি অধিকার নয়, সরকারের দয়া দান। স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। হাই কোর্টে স্যাটের রায় খারিজ হয়ে যায়। রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কর্মচারীদের ডিএ দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এরপরই ফের ডিএ মামলার শুনানি শুরু হয় স্যাটে। সেই মামলায় মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। তবে স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সরকার উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে’, বিস্ফোরক রূপাঞ্জনা মিত্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.