সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্যালাইন কাণ্ডে সল্টলেক স্বাস্থ্যভবন অভিযান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারিও দাবিও তোলা হয়েছে। শুভেন্দুর এই স্বাস্থ্যভবন যাওয়াকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন দেওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও চার প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ। ওই স্যালাইনের কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি তুলেছে তাঁদের পরিবার। ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্য সরকারের নির্দেশের পর সিআইডি তদন্তও শুরু করেছে।
আজ বুধবার সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনে স্যালাইন ইস্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের। বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কয়েকশো মিটার দূরেই ব্যারিকেট করে রাখা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী ভিতরে ঢুকতে গেলে বাধা পান। কেন তাঁকে স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে দেওয়া হবে না? সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। বেশ কিছু সময় স্বাস্থ্যভবনের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকেন বিরোধী দলনেতা। পরে বাধা সরিয়ে স্বাস্থ্যভবনের ভিতর তাঁকে যেতে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে শুভেন্দু দাবি করেন, প্রমাণ লোপাটের জন্যই স্যালাইন-কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এই ঘটনায় ইস্তফা দিতে হবে। তাঁকে গ্রেপ্তারেরও দাবি তোলেন তিনি। স্বাস্থ্যভবন অভিযান শেষে বিকেলে, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার হাজির হন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের নামে এফআইআর দায়ের করেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিজেপির বিধায়ক অসীম বিশ্বাস।
এই বিষয়ে পালটা মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, “শুভেন্দু অধিকারী নাটক করতে গিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ঘটনা। যদি স্যালাইনে কোথাও কোনও গণ্ডগোল থাকে, কীভাবে এল, কেন থেকে এল? তদন্ত, ব্যবস্থা, যা যা হওয়ার হোক। পাশাপাশি একটা বড় গাফিলতি ওখানে পাওয়া যাচ্ছে।”
এদিন কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “যে সিনিয়র ডাক্তারদের ওটি করার কথা, সেই চারজন সিনিয়র ছিলেন না। কাঁচা হাতে করা হয়েছে। যে ওটিগুলো ৪০-৪৫ মিনিটে হয়ে যায়, প্রায় দুই আড়াই ঘণ্টা ওপেন করে রাখা হয়েছে৷ তদন্তে এসব কিছু বিষয়ই আসবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.