ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজিরার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর, সিবিআইয়ের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার৷ সূত্রের খবর, রাজীবের তরফে সিবিআইয়ের কাছে সাতদিনের সময় চাওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে তিনি এখন ছুটিতে রয়েছেন৷ তাই সিবিআইয়ের কাছে সোমবার হাজিরা দিতে পারেননি৷ জানা গিয়েছে, রাজীবের তরফে সোমবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে এদিন যান সিআইডির দুই আধিকারিক৷ তাঁরাই সিবিআইয়ের কাছে রাজীবের আবেদনপত্র জমা দিয়ে আসেন৷
[ আরও পড়ুন: দীর্ঘক্ষণ লিফটে আটকে ৪ ছাত্রী, গাফিলতির অভিযোগে কাঠগড়ায় নিরাপত্তারক্ষী ]
শনিবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ সিবিআইয়ের একটি দল নগরপাল থাকাকালীন লাউডন স্ট্রিটে রাজীব কুমারের সরকারি বাংলো ছুঁয়ে তাঁরা পৌঁছন ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটে আইপিএস কোয়াটার্সে। নগরপালের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটের দোতলাতেই রাজীব কুমারের সরকারি আবাসন। সিবিআই সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে রাজীব কুমার ছিলেন না, ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সূত্রের খবর, তাঁর পরিবারের সদস্যরা নোটিস গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে ফ্ল্যাটের দরজাতেই টাঙিয়ে দেওয়া হয় সোমবারের হাজিরার নোটিস। ইতিমধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, রাজীব কুমারকে ফের এডিজি সিআইডি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শেষ দফা ভোটের ঠিক আগে রাজীব কুমারকে এডিজি,সিআইডি পদ থেকে অপসারিত করে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এদিন আদর্শ আচরণবিধির মেয়াদ ফুরনোর পর নবান্ন তাঁকে পুরনো পদে ফিরিয়ে আনে। এডিজি,সিআইডি হিসাবে রাজীর কুমারের অফিস ভবানী ভবনে। পার্ক স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা রওনা দেন ভবানী ভবনের উদ্দেশে। সেখানেও রাজীর কুমার ছিলেন না। সিআইডি-র কন্ট্রোল রুমে নোটিস জমা দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ফেরেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
[ আরও পড়ুন: সহজ হচ্ছে সরকারি কর্মীদের পেনশন পদ্ধতি, ই-সার্ভিস বুকে রাখা হবে চাকরি সংক্রান্ত রেকর্ড ]
সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সিজিও কমপ্লেক্স তো দূরের কথা, শহরের আনাচেকানাচে কোথাও দেখা গেল না রাজীবকে৷ সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রাক্তন নগরপাল৷ এখনও পর্যন্ত বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেননি তিনি৷ চলতি বছরের শুরুতেই অন্যতম নির্ভরযোগ্য পুলিশ অফিসারের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যেতেও দ্বিধা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত৷ বাঘা আইনজীবীরা দরবার করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট অবধি৷ তবে শীর্ষ আদালতের আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গভীর সংকটে পড়েন রাজীব কুমার৷ মরিয়া হয়ে নিজেকে বাঁচানোর পথ খুঁজতে গা ঢাকা দিয়েছেন৷ সোমবার নির্ধারিত সময়ের পরেও সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন না কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল৷ বরং সময় চেয়ে সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করলেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.