শুভময় মণ্ডল: বছর দুয়েক আগে ছিল সোনার শাড়ি। এবার আপাদমস্তক সোনার প্রতিমা। এবছর মধ্য কলকাতার অন্যতম ক্রাউডপুলার পুজো সন্তোষ মিত্র স্ক্যোয়ারের দুর্গাপুজোর বড় চমক। তিলোত্তমায় সোনার দুর্গার আবাহন দেখবে পুজোপ্রেমীরা। প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে এই প্রতিমা। ৫০-৬০ কেজি ওজনের হবে এই প্রতিমা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথাই জানালেন উদ্যোক্তারা। ২০১৭ সালের পুজোর পর ফের একবার নয়া চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পুজো লেবুতলা পার্ক তথা সন্তোষ মিত্র স্ক্যোয়ার দুর্গাপুজো কমিটি। প্রতিমা গড়ছেন শিল্পী মিন্টু পাল। বেশ কয়েক বছর আগে দেশপ্রিয় পার্কে সবচেয়ে বড় দুর্গা গড়ে চমক দিয়েছিলেন তিনি। এবার সবচেয়ে দামী দুর্গার নাম তাঁর সঙ্গে জুড়তে চলেছে। মণ্ডপসজ্জা করছেন শিল্পী দীপক ঘোষ।
[আরও পড়ুন: মহম্মদ আলি পার্কে নয়, জানেন এবার কোথায় হবে পুজো?]
মা দুর্গার ২০ কেজির সোনার শাড়ি। যার দাম ৬ কোটি টাকা। প্রতিমার চোখের আড়ালে সিসিটিভি। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার বা লেবুতলা পার্কের পুজোয় দু’বছর আগে এটাই ছিল চমক। তবে সেবার একটি অপ্রীতিকর ঘটনায় ছন্দপতন হয়েছিল পুজোর। পুজোমণ্ডপের ঝাড়বাতি থেকে আগুনের ফুলকি বেরতে দেখা যায়। এতে দর্শনার্থীদের বিপদ হতে পারে এই যুক্তি দেখিয়ে পুলিশ পুজো বন্ধ করে দেয়। আচমকাই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল মণ্ডপের প্রবেশদ্বার। ১৪ ঘণ্টার উদ্বেগের পর পুলিশ, দমকল ও উদ্যোক্তাদের বৈঠকের পর সকল পক্ষ আশ্বস্ত হয় এবং দর্শনার্থীদের খুলে দেওয়া হয় মণ্ডপ। সেবার প্রতিমার সোনার শাড়ি দেখতে প্রচুর ভিড় হয়েছিল মণ্ডপে। পুজোর চারদিন তো বটেই, পঞ্চমী থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন দর্শনার্থীরা। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে বেশ ঘাম ঝরে কলকাতা পুলিশের। কয়েক বছর আগে সোনার দুর্গা গড়ে তাক লাগিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পুজো সন্তোষপুর লেকপল্লি। প্রতিমাশিল্পী শুভমিতা দিন্দা ও থিমমেকার শিল্পী অদিতি চক্রবর্তীর যুগলবন্দিতে সেই পুজো কলকাতার অন্যতম চর্চিত হয়েছিল। তবে তাদের সেই কৃতিত্বকে ছাপিয়ে যেতে চাইছে লেবুতলা পার্ক। তাই এহেন আয়োজন।
এবছর উদ্যোক্তারা সেবারের চমককেও ছাপিয়ে যেতে চাইছেন। তাই এবার আপাদমস্তক সোনার প্রতিমা দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরবেন উদ্যোক্তারা। তবে শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমাই সোনার হবে, লক্ষ্মী-সরস্বতী বা কার্তিক-গণেশ প্রতিমা মাটিরই হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সোনার প্রতিমার নেপথ্যে রয়েছে একটি বিখ্যাত সর্বভারতীয় স্বর্ণবিপণি। তবে পুজোর সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানিয়েছেন, এখনই সেই স্বর্ণবিপণির নাম প্রকাশ্যে আনছেন না। পরে সেই সংস্থা সংবাদমাধ্যমের সামনে আত্মপ্রকাশ করবে।
[আরও পড়ুন: পুজো মণ্ডপ তৈরির জন্য কাটা হল গাছ! বিতর্কে টালা পার্ক প্রত্যয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.