তন্ময় মুখোপাধ্যায়: শর্ট সার্কিটের জেরে বিশৃঙ্খলা। এই অভিযোগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো বন্ধ করে দিল পুলিশ। নবমীর রাত একটা থেকে মণ্ডপের সামনে ব্যারিকেড বসানো হয়। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের একপ্রস্থ অশান্তি হয়। এই সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি মণ্ডপে কোনও আগুন লাগেনি। পুজো চালু রাখার দাবিতে তাঁরা আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
[থিমের অভিনব ভাবনায় দর্শকদের মন কাড়ছে শহরের এই মণ্ডপগুলি]
সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো বন্ধে দেশপ্রিয় পার্কের ছায়া দেখছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁরা এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছেন। তাঁদের দাবি দায়িত্ব ঠিকমতো সামলাতে না পেরেই পুলিশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবমীর রাতে ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, রাত একটা নাগাদ মধ্য কলকাতার এই পুজোয় আগুন দেখা যায়। বিপদ এড়াতে দর্শনার্থীদের মণ্ডপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনে করা হয়েছিল শর্ট সার্কিট থেকে এই বিপত্তি। ঝুঁকি না নিয়ে দমকলের পরামর্শে পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে ঢোকার রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়। মণ্ডপমুখী দর্শনার্থীদের আটকে দেয় পুলিশ। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। পুলিশের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের বচসা বাধে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হয়। মণ্ডপে ঢুকতে না পেরে বিক্ষোভ দেখান দর্শনার্থীরাও। মধ্য রাতের এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ পুজোর উদ্যোক্তারা।
[মহরমের দিন বিসর্জনের অনুমতি চেয়ে জমা পড়েনি একটিও আবেদন]
তবে পুলিশ ও প্রশাসনের উপর আস্থা রেখে পুজোর সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানান, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিশৃঙ্খলা বুঝতে পেরে আমরা দর্শনার্থীদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানাই।’’ উদ্যোক্তাদের মতে সাময়িকভাবে বিশৃঙ্খলা হলেও পুজো বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। এই যুক্তিতে সজল ঘোষের সংযোজন, ‘‘দমকল জানায় আগুনের কোনও ঘটনা নেই। সিইএসসিও কোনও ত্রুটি পায়নি। আমাদের পুজোয় যে কোনও সমস্যা নেই তা সার্টিফাই করার মতো কেউ ছিল না। তার ফলে পুজো বন্ধ করা হয়েছে। এমনকী মণ্ডপে দেবীর দৈনিক আচারও মানতে দিচ্ছে না পুলিশ। ’’পুলিশ সূত্রে খবর, পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট মিললে তবেই মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে।
[পরনে সোনার শাড়ি, ত্রিনয়নে সিসিটিভি নিয়ে তাই ভিড়ে নজর স্বয়ং উমার]
মা দুর্গার ২০ কেজির সোনার শাড়ি। যার দাম ৬ কোটি টাকা। প্রতিমার চোখের আড়ালে সিসিটিভি। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার বা লেবুতলা পার্কের পুজোয় এবার এটাই ছিল চমক। ৮২তম বর্ষে অবশ্য ছন্দপতন হল। তা নিয়ে আক্ষেপের পাশাপাশি, ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। পুজো চালু রাখতে নাগরিক কনভেনশন ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনে আদালতেও যেতে চান উদ্যোক্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.