Advertisement
Advertisement
সঞ্জম স্মিতা

ভবঘুরেদের জন্য নিজের হাতে রান্না, পুলিশের সাহায্যে খাবার বিতরণ সঞ্জয়-স্মিতার

লকডাউন যতদিন চলবে, ততদিন এই কাজ করবেন তাঁরা।

Sanjay and Smita Bakshi cook food for vagabonds at Jorasanka in Kolkata
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 30, 2020 4:48 pm
  • Updated:March 30, 2020 6:12 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সংক্রমণ রুখতে চলছে লকডাউন। বিপাকে পড়েছেন দিনমজুররা। ফুটপাথবাসী এবং ভবঘুরে মানুষদেরও নিয়মিত খাবার জুটছে না। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন রাজনৈতিক দুনিয়ার চেনা মুখ বকসি দম্পতি। জোড়াসাঁকো, গিরিশপার্ক, পোস্তা এবং বড়বাজার, কলকাতার এই চারটি থানা এলাকায় অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন সেই বকসি দম্পতি।

স্বামী সঞ্জয় বকসিকে নিয়ে হেঁসেলে ঢুকে পড়েছেন স্মিতা। ঘটনাচক্রে তিনি জোড়াসাঁকোর বিধায়কও বটে। সঞ্জয়ও একসময় এই এলাকার বিধায়ক ছিলেন। প্রয়াত রাজীব গান্ধী এবং প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্নেহের সেই মানুষটি এখনও এলাকায় জনপ্রিয়। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন। সোমবার সকাল থেকে গিরিশ পার্কের হরিয়ানা ভবনে চলছে খাবারের প্যাকেট তৈরির কাজ। ৫০০টি খাবারের প্যাকেট নিজের হাতে তৈরি করেন দম্পতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ত্রাণ বিলি নিয়ে সংঘর্ষ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র গার্ডেনরিচ এলাকা]

এদিন সকালে ফোন করে চার থানার ওসিদের সাহায্য চান তাঁরা। তুমুল ব্যস্ততার মাঝেও স্মিতা-সঞ্জয়ের অনুরোধে হরিয়ানা ভবনে হাজির হন চার ওসি। বকসি দম্পতি জানান, “দুপুরের মধ্যে এত খাবার বিতরণ করা সম্ভব নয়। আপনারা সাহায্য করুন।” হাসিমুখে খাবারের প্যাকেটগুলি গ্রহণ করে পুলিশ। ঠিক সময়ে তা বিতরণও করা হয়। দুপুর তখন প্রায় দুটো। নিজেরা তখনও খাননি। সঞ্জয়ের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন এলাকায় কেউ যেন অভুক্ত না থাকে। তাঁর নির্দেশ মেনে আমরা রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছি। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন আমরা এইভাবে অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেব।”

[আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত কি না, রিপোর্ট আসার আগেই এনআরএসে মৃত্যু মহিলার]

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement