অর্ণব আইচ: চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন ৬ জন। শুক্রবার সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশা আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল আলিপুর আদালত। বাকি তিনজনের কারাদণ্ডের মেয়াদ যাবজ্জীবন। দোষীদের প্রত্যকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[‘আমি প্রতিবন্ধী’, সাজা থেকে বাঁচতে সহানুভূতির আশ্রয় খোঁড়া বাদশার]
এ রাজ্যে তখন সদ্য ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ডিসেম্বরে মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ডহারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদ খেয়ে মারা যান ১৭২ জন। এই ঘটনা সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ড নামে পরিচিত। রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এদিকে মগরাহাট ও উস্তি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিআইডি। তদন্তে জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই চোলাই মদ বানাত কুখ্যাত ডন নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা।
সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে মৃত্য হয়েছিল ১৭২ জনের। তাঁদের মধ্যে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল উস্তি থানায়। অভিযুক্ত ছিল ১২ ছিল। দু’জন এখনও পলাতক। মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। চার্জশিট পেশ করা হয় ২০১২ সালে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুর আদালত। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন ৬ জন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা হল দোষীদের। শুধুমাত্র খোঁড়া বাদশাকে জেলে থাকতে হবে আমৃত্যু। এদিকে মগরাহাট থানায় যে মামলাটি দায়ের হয়েছে, সেই মামলা এখন বিচারাধীন।
ছবি: গোপাল দাস
[ অফিস টাইমে মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের, রবীন্দ্র সরোবরে উত্তেজনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.