ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জমি অধিগ্রহণ। কিন্তু জমির দাতার পরিবারের সদস্যের জায়গায় চাকরি করছে অন্য কেউ! এমনই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হলেন চাকরির অন্যতম মূল দাবিদার। ঘটনায় কাঠগড়ায় সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের কালিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুনিতা বর ও তাঁর স্বামী ভোলানাথ বর।
বছর পাঁচেক আগে সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কালিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘটিহারা এলাকায় ওয়াটার রিজার্ভার ট্যাংক তৈরির জন্য জমির প্রয়োজন ছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর চন্দ্র পাণ্ডা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে এক বিঘের বেশি জমি দেন। প্রতিশ্রুতি ছিল, ৩ কাটা জমি দান করলে একজনের চাকরির। ৩২ শতক জমির জন্য দু’জনের চাকরি দেওয়া হবে। সেখানে জমিদাতা ৩৪ শতক জমি দেয় বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির অংশীদার হিসেবে ভাস্কর চন্দ্র পান্ডার ছেলে ও তাঁর ভাইপো বিপ্লব পান্ডারও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, এপর্যন্ত ওই চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিপ্লব। তাঁর দাবি, হয় চাকরি দেওয়া হোক, না হয় তাঁর জমির অংশ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দপ্তর থেকে পিএইচই, মহকুমা শাসক এমনকী জেলাশাসককেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে বিপ্লবের দাবি, ওই জমি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে দানপত্র করার সত্ত্বেও চাকরি করছেন পঞ্চায়েতের প্রধান সুনিতা বরের স্বামী ভোলানাথ বর। তাই অবিলম্বে তাঁর প্রাপ্য চাকরি নাহলে তাঁর অংশের জমি তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। এদিকে, জমি দানপত্র হয়ে যাওয়ার পর ওই জমিতে প্রায় আড়াই বছর ওয়াটার ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানান, “ভূমিদাতা এসেছিলেন। বিষয়টি জানিয়ে আমি পিএইচডি দপ্তরের এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যাতে প্রাপ্য চাকরি হয়। যারা বেআইনি চাকরি করছে তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.