গোবিন্দ রায়: গত এক বছরে কলকাতা হাই কোর্টের সেরা রায়গুলোর তালিকায় জায়গা পেল সন্দেশখালি এবং এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। সন্দেশখালির মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। আর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক ধাক্কায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এ ছাড়া সেরা রায়ের তালিকায় রয়েছে সরকারি চাকরিতে রূপান্তরকামীদের এক শতাংশ বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ। ওই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বার্ষিক রিপোর্ট। সেখানে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের মতো বিচারপতিদের ‘বছরের বেস্ট’ রায়ের উল্লেখ রয়েছে। জানানো হয়েছে, সারা বছর ধরে বিচার করে হাই কোর্টের কোন বিচারপতির কোন রায়টি সেরা। গত বছর থেকে এই ধরনের বই প্রকাশ শুরু করেছেন হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষ। মূলত প্রতি বছর ১৫ অগাস্টে এই বই প্রকাশ হয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ রায় সন্দেশখালি মামলা। ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল হাই কোর্ট। এছাড়াও সন্দেশখালিতে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা খারিজ করে সেরা রায় দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলাও সেরা রায়ে জায়গা পেয়েছে। ওই মামলায় বিচারপতি বসাকের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক গাফিলতি রয়েছে। আদালত গ্ৰুপ-ডি, গ্ৰুপ-সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়।
বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের সেরা রায় পঞ্চায়েত মামলায়। মনোনয়নপত্র কারচুপির অভিযোগে ওই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না। নির্বাচন সংক্রান্ত এই বিষয়ে ইলেকশন পিটিশনে আদালত ওই নির্দেশ দিতে পারে। অ্যাসিড আক্রান্ত এক পুরুষ মহিলাদের মতো ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায়, আক্রান্তের লিঙ্গ বিচার করা উচিত নয়। মহিলাদের মতো তিনিও একই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.