নব্যেন্দু হাজরা: বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত আধিকারিক থেকে অধ্যাপক এমনকী, উপাচার্যদের বেতন প্রক্রিয়া বিরাট বদল আনতে চলছে নবান্ন! তা নিয়েই বুধবার একদফা বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা। হাজির ছিলেন ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসাররা। সেই বৈঠকেই নয়া বেতন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। তবে তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়া এখনও বাকি।
কী পরিবর্তন আসছে বেতন প্রক্রিয়ায়? এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অফিস স্টাফ থেকে অধ্যাপক কিংবা উপাচার্যদের বেতন যাবে রাজ্য সরকারের ট্রেজারি বা কোষাগার থেকে। অর্থাৎ এবার বেতন প্রক্রিয়া সরাসরি বিকাশভবন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে মনে করছে অধ্যাপক মহলের একাংশ। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অফিসার, অধ্যাপক, উপাচার্যদের এই বেতন যেত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে। রাজ্যের কোষাগার থেকে সেই টাকা আসত বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে। পাশাপাশি জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীভূত করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারদের সঙ্গে এবিষয় একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
বৈঠক যখন ডাকা হয়েছিল তখনই অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন প্রক্রিয়াটি বিকাশ ভবনের কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিকাশ ভবন থেকে কারও বেতন যদি আটকে দেওয়া হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকবে না। একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহলও।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন,“কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ (রাজ্যপালের নির্দেশ) মেনে চললে আর্থিক বাধা তৈরি করব। দেখি, কোন উপাচার্যকে বেতন কে দেয়? উনি শুধু নিয়োগপত্র দিতে পারেন, বেতন দিই আমরাই।” এরপরই বেতন প্রক্রিয়ায় আচমকা বদলের সিদ্ধান্ত ঘিরে বাড়ছে চাঞ্চল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.