ফাইল ছবি
কৃষ্ণকুমার দাস: করোনায় আক্রান্তদের ভরতিতে হাসপাতালের বেডের অভাব মেটাতে মৃদু্ সংক্রমিত বা উপসর্গহীনদের জন্য ‘সেফ হোম’ নামে বিকল্প চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করছে কলকাতা পুরসভা। আপাতত ইএম বাইপাসের পাশে আনন্দপুরে ১০০০ বেড ও বাল্টিকুরিতে ৫০০ শয্যার দু’টি কেন্দ্র চালু হচ্ছে। দুই প্রতিষ্ঠানেই রোগী ভরতি ও চিকিৎসা করবে স্বাস্থ্য দপ্তর। পরিকাঠামো এবং অন্যান্য পরিষেবা দেবে পুরসভা। দুই কেন্দ্রেই অক্সিজেন, ডাক্তার, নার্স, ওষুধ-পথ্য, খাবার, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবাই থাকছে।
আনন্দপুরের ‘সেফ হোম’ কেন্দ্রের সঙ্গে এম আর বাঙ্গুর, ডিসান ও কেপিসি হাসপাতালের ২৪ ঘণ্টাই হটলাইনে যোগাযোগ থাকবে। আনন্দপুরের নয়া কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে সোমবার কলকাতা (Kolkata) পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যাঁদের মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন, কিন্তু বাড়িতে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই তাঁদেরই এই ‘সেফ হোম’-এ রাখা হবে। কারা ভরতি হবেন তা ঠিক করবে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।” চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় যদি কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাঙ্গুর বা ডিসানে সরকারি কোটার বেডে ভরতি করা হবে বলেও পুরমন্ত্রী জানান।
করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কলকাতা তথা গোটা রাজ্যে। কিন্তু হাসপাতালের বেড সংখ্যা একই আছে, তাই ভরতি হতে না পেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগও আসছে। বস্তুত চাপে পড়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্যদপ্তর ও জেলা প্রশাসন মৃদু্ সংক্রমিতদের জন্য মেডিক্যাল কলেজ বা টার্সিয়ারি হাসপাতালের পরিবর্তে ‘সেফ হোম’ চালু করছে। নয়া কেন্দ্রগুলি চালু হলে বড় হাসপাতালে রোগী ভরতি চাপ কমবে।
এদিন পুরমন্ত্রীর সঙ্গে পরিদর্শনে আসা পুরসভার করোনা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, “নয়া কেন্দ্রটি আসলে একটা আধুনিক হাসপাতালই। ডাক্তার, নার্স থেকে সব থাকবে, কিন্তু ভেন্টিলেটর বা আশঙ্কাজনক রোগীর চিকিৎসা হবে না। মৃদু উপসর্গের সংক্রমিতের চিকিৎসা ভালভাবে হবে।” রোগী ভরতির চাপের কথা স্বীকার করে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ জানান, “বালটিকুরিতে এতদিন যেখানে কলকাতা পুরসভার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ছিল, সেটাও ‘সেফ হোম’ হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.