Advertisement
Advertisement

Breaking News

St. Xavier's University

সেন্ট জেভিয়ার্স বিকিনি বিতর্ক: বন্ধ ঘরে যৌনগন্ধী মন্তব্য করেন ভাইস চ্যান্সেলর! পালটা অধ্যাপিকার

প্রাক্তন অধ্যাপিকার আইনি নোটিসের উত্তর দিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স।

Sacked professor of St. Xavier's University alleges VC of making harassing comments
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 11, 2022 12:36 pm
  • Updated:August 11, 2022 12:37 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: এমন অর্ধ উলঙ্গ ছবি তোমার মা-বাবা দেখেন? তাঁরা কিছু বলেন না? টিটকিরি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ তো বটেই। অভিযোগ, স্রেফ সাঁতারের পোশাক পরার অপরাধে বিচারের নামে বন্ধ ঘরে বসিয়ে যৌনগন্ধী মন্তব্য ছোড়া হয়েছিল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার দিকে। তাঁর আইনজীবী ঝুমা সেন বুধবার জানিয়েছেন, এমন ন্যক্কারজনক ব্যবহার করেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিন্দুমাত্র লজ্জিত নয়। “বরং আমার মক্কেলের পাঠানো আইনি নোটিসের জবাব দিয়েছেন নেহাত দায়সারাভাবে।” প্রাক্তন অধ্যাপিকার আইনি নোটিসের উত্তর দিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স। অধ্যাপিকার বক্তব্য, ওটা উত্তর নয়। ৯৯ কোটি টাকার মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওরা। তাতে আমি ভীত নই। তাঁর দাবি, আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি শেষ। শীঘ্রই তা শুরু হবে।

সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জে ফেলিক্স রাজকে নোটিস পাঠানো হয় ১ মার্চ ২০২২। তার প্রায় সাত মাস আগে ৯ আগস্ট ২০২১ সালে সেন্ট জেভিয়ার্সে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার বছর তিরিশের তরুণী। আইনজীবীর দাবি, মাত্র দু’মাস পরে ৭ অক্টোবর সকাল ১১ টায় তাঁর কৌঁসুলিকে ফোন করেন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। বিকেল ৪টের মধ্যে আসতে বলা হয় কনফারেন্স রুমে। যেখানে হাজির ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আশিস মিত্র, অধ্যাপক মেধা ভদ্র চৌধুরী, ডা. রেশমি নস্কর, ডা. সোমা সুর, সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগের সেরিল ফ্রান্সিস, সেন্ট জেভিয়ার্স ল স্কুলের অধ্যাপক প্রত্যুষা দাস। আইনজীবী ঝুমা সেনের কথায়, “টানা দু’ঘণ্টা খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে একপেশে ভাবে আমার কৌঁসুলিকে বিদ্রুপ করা হয়েছে। বাদ যায়নি যৌনগন্ধী মন্তব্যও।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: তদন্তে ‘অসহযোগিতা’, গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল]

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অধ্যাপিকা জানিয়েছেন, আচমকাই প্রথম বর্ষের ইংলিশ অনার্সের এক ছাত্রের বাবার চিঠি পড়ে শোনানো হয়। বলা হয়, যে ছবি আমি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছি তা অত্যন্ত নোংরা, অশ্লীল এবং উত্তেজক। অধ্যাপিকার দাবি, ঘটনাস্থলে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি কোনও।
টিপ্পনিতেই শেষ নয়। অভিযোগ, সামাজিক মাধ্যম থেকে স্বল্পবসনা কিছু ছবি প্রিন্ট করেছিল বৈঠকে উপস্থিত সদস্যরা। তা দেখানো হয় অধ্যাপিকাকে। আইনজীবী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টা পূর্বপরিকল্পিত। আমার মক্কেলকে এই ছবি দেখানোর আগে ঘরের মধ্যে উপস্থিত সদস্যরা ছবিগুলো নিয়ে যথেষ্ট কাটাছেঁড়া করেছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে একটা বিরুপ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।

অধ্যাপিকার দাবি, “এসব ছবি আমি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছিলাম। তা একান্ত ব্যক্তিগত।” তা নিয়ে বলতে গেলে বৈঠকে উপস্থিত অধ্যাপক প্রত্যুষা দাস বলেন, ইন্টারনেটে দেওয়া কোনও জিনিসই ব্যক্তিগত থাকে না। সে বৈঠকের পর লিখিত ক্ষমা চেয়েছিলেন অধ্যাপক। তা সত্ত্বেও দিন পনেরোর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের অধ্যাপক তালিকা থেকে নাম উধাও হয়ে যায় তাঁর। অধ্যাপক পুরনো চাকরি ছেড়ে বেসরকারি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়েছেন। তাঁর আইনজীবী ঝুমা সেনের বক্তব্য, “সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জানতে চাই, যাঁরা সেদিন ঘরে বসে যৌনগন্ধী মন্তব্য করেছেন, কেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে না?”

[আরও পড়ুন: উদয়পুর হিংসায় খুন হওয়া দরজির দোকানের কাছে মহরমের তাজিয়ায় আগুন, নেভাল হিন্দু পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement