Advertisement
Advertisement
সব্যসাচী

বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা সব্যসাচী দত্তর

কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল বলেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মেয়রের।

Sabyasachi Dutta resigns from mayor post of Bidhannagar Municipality
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 18, 2019 4:28 pm
  • Updated:July 18, 2019 5:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনা, আলাপ-আলোচনার পর অবশেষে যবনিকাপাত৷ বিধাননগর পুরসভার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সব্যসাচী দত্ত৷ ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়েছেন পুর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং অন্যান্য কাউন্সিলরদের কাছে৷ আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি নিজেই৷ কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন, মেয়র হিসেবে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে৷ পুরআইন যথাযথভাবে মেনে কাজ করতে বাধা পাচ্ছেন৷ সরকারি গাড়িও তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানালেন৷

[আরও পড়ুন: হনুমান চালিশা পাঠ করায় ইসরাত জাহানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ]

গুঞ্জন চলছিলই৷ তৃণমূলের প্রথম সারির অন্যতম নেতার চালচলন বিশেষ ভাল ঠেকছিল না দলের কাছেই৷ তারই মাঝে দলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতেও দেখা গিয়েছিল বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে৷ দল তা দেখে সতর্ক হয়েছে৷ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়, ইস্তফা দেওয়ার৷ তখন পরামর্শে কর্ণপাত করেননি সব্যসাচী৷ এরই মাঝে সপ্তাহ দুই আগে বিদ্যুৎ ভবনে সরকারি কর্মচারীদের একটি আন্দোলনে শামিল হয়ে নিজের বিপদ নিজেই আরও ডেকে এনেছিলেন বিধাননগরের মেয়র৷ তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন পুরসভার ৩৫ জন কাউন্সিলর৷

Advertisement

এই অনাস্থার চিঠি নিয়ে সোজা হাই কোর্টে চলে গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত৷ সেখানে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, অনাস্থার চিঠিতে আইন সংক্রান্ত বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি আছে৷ তাই চিঠিটি অবৈধ, তবে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রক্রিয়াটি বৈধ৷ তাতে কোনও সমস্যা নেই৷ এতে সাময়িক স্বস্তি পেলেও, দুঁদে রাজনীতিক সব্যসাচী বুঝতে পারেন, আস্থা ভোটে তাঁর বিপদ বাড়বে৷ তাই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন৷ বলেন, ‘মেয়র হিসেবে কাজ করতে গিয়ে সহকর্মীদের সাহায্য পেয়েছি৷ কিন্তু জনাকয়েক কাউন্সিলরের বেআইনি কিছু কাজকর্ম যেমন জলাভূমি ভরাট, প্রোমোটিং-সহ একাধিক কাজে বাধা দিচ্ছিলাম৷ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট মেনে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছি৷ এই অবস্থায় কাজে থাকা সম্ভব নয়৷ আমি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে৷’ সব্যসাচী আরও বলেন, ‘অসততার সঙ্গে কোনও আপোষ করিনি, করব না৷’

[আরও পড়ুন: ট্রলি না পেয়ে কর্মীকে মারধর রোগীর পরিজনদের, ধুন্ধুমার এসএসকেএম হাসপাতালে]

তাহলে কি মুকুল রায়ের পরামর্শেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত? পরবর্তী পদক্ষেপ কি বিজেপিতে যোগদান? সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের উত্তর সরাসরি এড়িয়ে সব্যসাচী জানিয়েছেন, মুকুল রায় তাঁকে দাদার মতো পরামর্শ দিয়েছেন মাত্র৷ এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ খোঁজার কোনও অর্থ নেই৷ তবে সব্যসাচী দত্তর ইস্তফায় বিধাননগর পুর এলাকার কাজকর্ম কীভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে৷ যদিও অভ্যন্তরীণ কাজকর্মের জন্য আগেই ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ তিনি পরে সাংবাদিক বৈঠক করে সব্যসাচীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্ষেপ করেছেন৷ আর ইস্তফা দেওয়ার পরই সব্যসাচী দত্ত সোজা পৌঁছে গিয়েছেন সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশনমঞ্চে৷ 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement