সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পর এসএসকেএম। রক্তমাখা গ্লাভসের পর অপারেশন থিয়েটারেই খুলে গেল ‘মরচে ধরা’ কাঁচি। সেই কাঁচির ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রসূতির সি সেকশন করার প্রয়োজনীয়তা পড়ে। অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে চিকিৎসক কাঁচিতে হাত দেওয়ামাত্রই অঘটন। কাঁচি খুলে দুভাগ হয়ে যায়। যদিও ওই কাঁচি প্রসূতির কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। অন্য কাঁচি দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তরুণীর শারীরিক সমস্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে, একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কেন এমন ‘মরচে ধরা’ কাঁচি ব্যবহার করা হবে।
কাঁচিটি কবে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, কাঁচিটি বহু পুরনো। কিন্তু কেন পুরনো কাঁচিটি এল অপারেশন থিয়েটারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। স্টেরিলাইজ কাঁচির মাঝে কীভাবে এটি এল, তা অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জকে জানাতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ যাঁরা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ডিসটার্ব করতে চান, ধর্মঘট করে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ঠেলে দিতে চান, সরকারি ব্যবস্থার বদনাম করতে চান, এইসব রক্তমাখা গ্লাভস, জং ধরা কাঁচি, এই সব দেখানো তাদের কর্মসূচির মধ্য়ে পড়েছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক ইন্টার্ন গত ১০ অক্টোবর দাবি করেন, চিকিৎসা করার সময় তিনি রক্তমাখা গ্লাভস দেখতে পান। তাঁর দাবি, একজন এইচআইভি রোগীর রক্ত নেওয়ার জন্য গ্লাভস নেন। প্যাকেট থেকে বের করতে গিয়ে তিনি ভাবেন প্রথম গ্লাভসটা হয়তো কোনও কারণে নোংরা ছিল। সেই গ্লাভস ফেলে অন্যটা নিতে গিয়েও দেখেন একই অবস্থা। প্রায় প্রত্যেকটি গ্লাভসই নোংরা। নার্স জানান, সকালে ওই গ্লাভসের প্যাকেটটি খোলা হয়। চিকিৎসকদের দাবি, এমন রক্তমাখা গ্লাভস হাতে পরে চিকিৎসা করলে রোগীদের শরীরে সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষত হেপাটাইসিস কিংবা এইচআইভি-র মতো রক্তবাহী রোগ ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তবে এসএসকেএমের খুলে যাওয়া কাঁচি কারও চিকিৎসার কাজে লাগেনি, তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.