সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে বামেদের অন্যতম শরিক দল সিপিআই। রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই একে একে নেতা কর্মীরা হয় নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন না হয় অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। তাই পার্টির ৯৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে খুব একটা উন্মাদনা ছিল না কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। দলের মরা গাঙে বান আনতে রানি রাসমণির সমাবেশে আনা হয়েছিল কানহাইয়া কুমার, জিগনেশ মেবানিদের মতো যুব নেতাদের। রানি রাসমণির সভা থেকে কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন কানহাইয়া কুমার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মমতাকেও বিঁধলেন। তবে তুলনামূলকভাবে মোদির বিরুদ্ধেই চড়া সুর শোনা গেল দুই যুবনেতার মুখে।
গুজরাটের বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি বললেন, বিজেপি তথা আরএসএস সংবিধান মানে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও সংবিধান মেনে চলতে হয়। অথচ এরা সংবিধান মানতে চায় না। কানহাইয়া বলেন, “দেশভাগের জ্বালা সবচেয়ে বেশি বোঝে বাংলার মানুষই। আরও একবার বাংলা ভাগের পরিকল্পনা করছে বিজেপি-আরএসএস। বাংলায় আরএসএস শক্তি বাড়িয়ে ফেলেছে। ধর্মীয় বিভাজনের মাধ্যমে ফের বাংলাকে হিন্দু-মুসলমানে বিভক্ত করে ফেলতে চাই। আমাদের বাংলা ভাগ আটকাতে হবে। সংবিধান রক্ষা করতে হবে।” দেশভাগের জন্য এদিন একযোগে হিন্দু মহাসভা এবং মুসলিম লিগকে দায়ী করেন কানহাইয়া। নেতাজির উদাহরণ তুলে বলেন, “ওঁরা সুভাষবাবুকে নিজেদের সম্পত্তি বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সুভাষবাবু কখনওই হিন্দু মহাসভাকে পছন্দ করতেন না। বরং তিনি বামেদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর দল ফরওয়ার্ড ব্লক এখনও বামেদের সঙ্গেই আছে।”
এদিনের সভায় দুই যুবনেতার আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল বিজেপি তথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তুলনায় মমতার বিরুদ্ধে সুর কিছুটা নরম ছিল কানহাইয়াদের। যদিও এই বামপন্থী ছাত্রনেতা বলেন, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছেন মমতা। দিল্লিতে মোদি যা করছেন বাংলায় দিদি তাই করছেন। গণতন্ত্র বাঁচাতে আমাদের মোদি এবং দিদি দু’জনের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে।” জিগনেশ অবশ্য বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়েই চলার বার্তা দিয়েছেন জিগনেশ। তিনি বলেন, এটা কোনও আদর্শের লড়াই নয়। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দলই অচ্ছুৎ নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.