রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতি বামেদের নিশানা করা হল স্বস্তিকা পত্রিকায়। মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার সভায় গিয়েছিলেন। ক্যাম্পাসের মধ্যেই তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেদিন রাতেই জ্বলেই ক্যাম্পাসের ভিতর শিক্ষাবন্ধুর সমিতির অফিস। বাম ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকেই অস্থিরতা চলছে ক্যাম্পাসে। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে আরএসএসের মুখপত্র পত্রিকা স্বস্তিকায়।
সম্পাদকীয়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতি বামদের নিশানা করে লেখা হয়েছে একাধিক লাইন। প্রগতিশীল বাম ও অত বামদের প্রতি রয়েছে তীব্র কটাক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতি বামেদের একাংশ নেশার সঙ্গে জড়িয়ে। সেই মারাত্মক অভিযোগও তোলা হয়েছে। আর এই সম্পাদকীয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতি বামেদের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘এখানে বিভিন্ন বিভাগে ঘটিয়াছে পঠনপাঠন ও গবেষণার অন্তর্জলি যাত্রা।’ এজন্য মুক্তচিন্তা সম্পন্ন ও প্রগতিশীল বাম এবং অতি বাম ছাত্র এবং অধ্যাপকদের দায়ী করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, চলতি বছর গেট পরীক্ষায় প্রথম একশো জনের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ইলেকট্রনিক্স এবং টেলি কমিউনিকেশনে দেশের মধ্যে প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। এছাড়া অর্থনীতি এবং ভূতত্ত্ববিদ্যায় প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। কিন্তু আরএসএসের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতি বামদের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
রাখঢাক না করেই একাধিক লাইনে বাম ও অতি বামদের আক্রমণ করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। লেখা হয়েছে, ‘ইহার পরবর্তী পর্যায়ে ভয়াবহ বাম ও অতি বাম রাজনীতির করাল গ্রাসে নিক্ষেপিত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। একতা জাতীয়তাবোধের পীঠস্থানটি পরিণত হয়, অপসংস্কৃতি ও নিম্নরুচিসম্পন্ন রাজনীতির আখড়ায়।’ জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠনের উপর আক্রমণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অশ্রাব্য ভাষার আক্রমণের অভিযোগও তোলা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। বহু বছর ধরে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই অভিযোগও তোলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.