সুব্রত বিশ্বাস: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপরাধের ধরন বদলেছে। সাইবার ক্রাইম বা ডিজিটাল ক্রাইমে অতিষ্ঠ মানুষজন। এই ধরনের অপরাধ ট্রেন ও স্টেশন চত্বরে হুহু করে বেড়ে চলেছে। এই ধরনের অপরাধের কিনারা করতে এবার রেল তৈরি করছে সাইবার সেল। ভারতীয় রেলের ছ’টি স্টেশনে এই মুহূর্তে সাইবার সেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্টেশনগুলি হাওড়া, দিল্লি, গোরক্ষপুর, পুণে, চেন্নাই, হায়দরাবাদ। ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও পুণেতে। অন্য তিনটি স্টেশনে সাইবার সেল তৈরির কাজ চলছে।
মোবাইল, আধুনিক গ্যাজেট, ট্যাবলেট প্রভৃতির মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধের কিনারা করবে এই সেল। জালিয়াতি, প্রতারণা, যাত্রীর ছবি তুলে অশ্লীলভাবে তা পোস্ট করা, চাকরি দেওয়ার নামে স্টেশনে ডেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করা, নানা ধরনের অপরাধের দায়ের করা মামলা ডিটেকশন করা। এজন্য যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবে রেলের সাইবার সেল। এরপর অপরাধী ধরার জন্য সব ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করবে রেল।
সাইবার সেলের মূল দায়িত্বে থাকছে আরপিএফ। এজন্য আরপিএফ আধিকারিকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত স্টেশনে তৈরি হচ্ছে ওয়ার্ক স্টেশন। যাতে থাকবে বিভিন্ন টুলস। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার। আনুমানিক খরচ পড়বে কোটি টাকারও বেশি। কেস ডিটেক্ট করতে নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানো হবে, সিডিআর, আইপিডিআরের রেজিস্টার খুঁজে বের করে, অপরাধস্থলে কোনও মোবাইল, গ্যাজেট বা ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি কার নামে, কোন মোবাইল ডাটা ব্যবহার করা হয়েছিল, কোন সংস্থার ডাটা, সার্ভিস প্রোভাইডার কে, ইন্টারনেট প্রোটোকল কার নামে ইত্যাদি দেখে অপরাধী চিহ্নিত করা হবে। রেল বোর্ডের আরপিএফের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, সেল রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও সংযোগ রেখে অপরাধ ধরতে সচেষ্ট হবে। হাওড়া স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক পনেরো লক্ষেরও বেশি যাত্রী স্টেশনটি ব্যবহার করেন। নানা ধরনের অপরাধ ও অপরাধীদের আনাগোনার সম্ভাবনা থাকে। রেলের টিকিট থেকে আনুষঙ্গিক বহু বিষয় রয়েছে, যাতে মোবাইল ও গ্যাজেট ব্যবহার হয় ইদানীং। এই ধরনের অপরাধ ডিটেক্ট করার পাশাপাশি অপরাধী চিহ্নিত করতে সাইবার সেল অত্যন্ত জরুরি হাওড়ার মতো ব্যস্ত স্টেশনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.