সুব্রত বিশ্বাস: হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হল হাওড়া স্টেশন। বিক্ষোভকারী হকারদের সরাতে আরপিএফ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। জাতীয় বাংলা সম্মেলন সমর্থিত হকারদের অভিযোগ, তাদের হকারিতে বাধা দিচ্ছে আরপিএফ। নিত্য মামলা দায়ের করছে।
বুধবার রাতে কোন্নগর স্টেশন থেকে হকারদের ১২টি ডালা বাজেয়াপ্ত করে বালি আরপিএফ পোস্ট। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রায় শতাধিক হকার হাওড়া স্টেশনে এসে হকারি করতে শুরু করে। শশা, পেয়ারা, বাদাম, লেবুর ডালা পেতে বিক্রি শুরু করে। জাতীয় বাংলার পক্ষে সেদিন সৈকত পাল জানিয়েছিলেন, শহরতলির স্টেশনে হকারি করতে বাধা দিলে তাঁরা হাওড়া স্টেশনে এসে মাল বেচবেন। যদিও এ ধরনের আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে ভিন্ন মত প্রশন করা হয়েছে। কোন্নগরের হকার উচ্ছেদ প্রতিবাদে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ করাটাকেও তারা কটাক্ষ করেছে।
বৃহস্পতিবার কোন্নগর স্টেশনের ১২ জন হকার স্টেশনের ভিতরে বসবে না, এই হলফনামা দিয়ে আরপিএপের কাছ থেকে ডালা ফেরত নিয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার ফের তারা ওই স্টেশনে ডালা পাতলে আরপিএফ তা পুনরায় বাজেয়াপ্ত করে। ফলে আবার সেই হাওড়াতে এসে একই পদ্ধতিতে আন্দোলনের জন্য জড়ো হলে আরপিএফ তাদের সরানো চেষ্টা করে। এসময় আরপিএফের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। আরপিএফ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী হকাররা। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরমশিব বলেন, “রেলের যেখানে প্রয়োজন সেই সব স্থান থেকে হকার উচ্ছেদ করা হবে। যেসব চত্বরে হকার বসার নয় সেখানে বসলে তুলে দেওয়া হবে। কোনওরকম বাধা বিপত্তিতে পিছিয়ে আসবে না রেল।”
বারবার স্টেশনে এই ধরণের উত্তেজনাতে ক্ষুব্ধ সাধারণ যাত্রীরা। অনেকেই অভিযোগের সুরে বলেছেন, বিক্ষাভাকারী ও আরপিএফের সংঘাতে মধ্যে পড়ে তারা প্রায়ই ব্যতিব্যস্ত হচ্ছেন। এদিন জাতীয় বাংলা সম্মেলনের পক্ষে অভিযোগ করে দীপক ব্যাপারী, সত্যব্রত দাস ও অরিন্দম পালরা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ বৈঠকের জন্য হাওড়া এসেছিলাম। ট্রেন থেকে নামতেই আরপিএফ মারধর করে ২৩ জনকে আটক করে। মহিলারাও আক্রান্ত হন।” যদিও আরপিএফ এদিন সাফ জানিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের ভিতরে হকারি করতে এসেছিল। তাদের সরানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.