সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাইনিং হল বিতর্কে নয়া মোড়৷ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল রাজ্য সরকারের৷ সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য নয়, প্রত্যেকের জন্যই স্কুলগুলিতে তৈরি হবে ডাইনিং হল৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা ঘোষণা করল সংখ্যালঘু দপ্তর৷
রাজ্যের যেসব স্কুলে ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু পড়ুয়া রয়েছে, সেখানে তৈরি করতে হবে ডাইনিং হল। গত বৃহস্পতিবার সরকারি স্কুলগুলিতে সংখ্যালঘু বিষয়ক দপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল এই নির্দেশিকা৷ তাতে স্পষ্টই উল্লেখ করা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া রয়েছে, এমন স্কুলের তালিকা পাঠাতে হবে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে স্কুলের নাম, ব্লক বা পুরসভা, পড়ুয়ার সংখ্যা, সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা ও সংখ্যালঘু পড়ুয়ার হার ইত্যাদি তথ্য পাঠাতে হবে৷
এই নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে পড়ে যায় শোরগোল৷ হঠাৎ করে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকা স্কুলেই কেন ডাইনিং হল তৈরির প্রয়োজন পড়ল, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন সকলেই৷ এর পিছনে ফের সরকারের সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগে তুলতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷
এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্কের জল গড়ায় সংসদের পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভাতেও৷ শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ আর তার জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ নির্দেশিকাটি ৩ বছর আগেকার৷ সংখ্যালঘু দপ্তরের হাতে থাকা টাকা খরচের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনেই কোনও দপ্তরের হাতে টাকা থাকলে সেটা ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরকে একই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ঠিক সেভাবেই সর্বশিক্ষা অভিযানের প্রকল্পে অর্থ খরচ করবে সংখ্যালঘু বিষয়ক দপ্তর৷ সেই অর্থেই শুধুমাত্র সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য নয়, প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্যই স্কুলে তৈরি হবে ডাইনিং হল৷’’
যদিও নির্দেশিকাটি যে তিন বছর আগের তা মানতে রাজি নয় বিরোধীরা৷ সমালোচনার কাছে নতিস্বীকার করেই সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে ডাইনিং হলে তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল বলেই দাবি বিরোধীদের৷ তবে বিরোধীদের দাবিকে কেবলমাত্র কুৎসা বলেই পালটা দাবি করেছে রাজ্য সরকার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.