সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে প্রথমবার ৭ দফায় ভোট হচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো বড় রাজ্যে যেখানে ৩ বা ৪ দফায় ভোট হচ্ছে, সেখানে বাংলায় ৭ দফায় ভোট করানোর যুক্তিটা কী? ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ৭ দফায় ভোট করালে রাজ্যের মানুষেরই ভোট দিতে অসুবিধা হবে। ৭ দফার ভোটের মানে রমজানের মধ্যে ভোট করা হল, যাতে সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে না পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষ একত্রিতভাবে ভোট দেবেন। তবে, তিনি আরও জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভা ভোটের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস পুরোপুরি প্রস্তুত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাইরেও ভোটপ্রচারে যাবেন।
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি ৭ দফায় ভোটের কথা শুনে খুশিতে ডগমগ। ভোট ঘোষণার ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই রাজ্য বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতা রাহুল সিনহা। আসলে, রাজ্যে ৭ দফায় নির্বাচনের কারণ যারা খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের কাজটা খানিকটা সুবিধা করে দিলেন রাহুল। তিনি বললেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত আমরা যখন জনমত গঠন করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম, তখন মানুষ আমাদের একটাই কথা বলেছে। দেখুন ভোটটা যেন এবার দিতে পারি। শাসকদলের নেতারা আজকেও পাঁচনের দাওয়াই দিচ্ছেন। যে নেতা পাঁচনের দাওয়াই দিচ্ছেন তাঁকে জানিয়ে দিতে চাই এতদিন আপনারা পাঁচন দিয়েছেন, এবার আপনাদের পাঁচন ফেরত নেওয়ার পালা। কমিশন এবার সাত দফায় নির্বাচন করবে। এই সাত দফার নির্বাচনে তৃণমূলে দফারফা হবে।” রাহুলবাবুর মন্তব্য শুনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে কী শাসক শিবিরকে শায়েস্তা করতেই রাজ্যকে সাত ভাগে ভাগ করে ভোটের প্রস্তাব? সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই শাসকপন্থীরা সে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বামেরা অবশ্য, সেসব বিতর্কে যেতে রাজি নয়। তাদের সাফ দাবি, ক’দফায় ভোট হল সেটা বড় কথা নয়, ভোটটা শান্তিপূর্ণ হওয়া চাই। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সেকথাই বলছেন।
এ তো গেল রাজ্যের ব্যপার। সার্বিক স্তরে গোটা দেশের সূচি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীদের একাংশ। তবে, সব মিলিয়ে গণতন্ত্রের উৎসব যখন শুরু হয়ে গেল, তাই অযথা বিতর্ক না বাড়িয়ে সাধারণের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাবার্তা জানানোই শ্রেয় মনে করছেন নেতারা। সেই লক্ষ্যে টুইটে বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি দুই শিবিরই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ-মায়াবতী সকলেই টুইট করেছেন গণতন্ত্রের উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন পূর্বর্বর্তী সরকারকে বিঁধে এবং বর্তমান সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে।
Wishing all political parties and candidates the very best for the 2019 Lok Sabha elections.
We may belong to different parties but our aim must be the same- the development of India and empowerment of every Indian!
— Narendra Modi (@narendramodi) March 10, 2019
We welcome the declaration of elections for the 17th Lok Sabha.
I call upon the people of India to turnout in record numbers and enhance the vibrancy of India’s electoral process.
— Amit Shah (@AmitShah) March 10, 2019
बिगुल बजा है, अब जनता की बारी है,
झूठ से लड़ने की, पुरजोर तैयारी है।
झूठों के इस शासन को हम देंगे मात,
कमर कसी है हमने, अबकी जीत हमारी है।।#JeetHogiSachKi pic.twitter.com/trJRMKm0Zt— Congress (@INCIndia) March 10, 2019
ECI declaring 7-phase schedule for general election to elect 17th Lok Sabha in the country is a welcome move. Crores of poor, labourers, farmers, women, youth etc participate in great strength in polling. Respecting them, free, fair and peaceful polling is utmost necessary.
— Mayawati (@Mayawati) March 10, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.