প্রতীকী ছবি।
তরুণকান্তি দাস: একটি অবয়ব আর অনেক রসগোল্লা নিয়েই ডাক বিভাগে তৈরি হবে একটি বিশেষ পুস্তিকা। যাঁর অবয়ব, তিনি গত হয়েছেন বহুদিন। কিন্ত রয়ে গিয়েছেন বাঙালির মনে। বাংলার সম্মানরক্ষার সাম্প্রতিকতম জয়ে যে তাঁরই হাত। তাই সেই মানুষটিকে সম্মান জানাতে এর চেয়ে ভাল উদ্যোগ আর কীই বা হতে পারে। নবীনচন্দ্র দাশের মুখ, ছবি-সহ তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা এবং রসগোল্লার সাতকাহন নিয়ে একটি বিশেষ পুস্তিকা বের করবে কলকাতা ডাক বিভাগ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতেই তা মুক্তি পাবে। সরকারের তরফ থেকে এটা একটা বিরাট সম্মান বলে মনে করছেন বাংলার মিষ্টিমহল। হবে নাই-বা কেন? ২০১৮ সাল তো রসগোল্লা আবিষ্কারের সার্ধশতবর্ষ। দেড়শো বছর পার করে যে স্বীকৃতি (জিআই) শেষ পর্যন্ত জুটেছে বাংলার কপালে, তা বাংলার পাশাপাশি বাঙালির জয়।
ডাক বিভাগের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বাংলার রসগোল্লাকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ। আঞ্চলিকভাবে কোনও উল্লেখযোগ্য বিষয়ে টিকিট প্রকাশ বা বিশেষ পুস্তিকা প্রকাশের জন্য দিল্লির অনুমোদন লাগে। সেই অনুমোদন মিলেছে। তাই কভার পেজ বা বিশেষ পুস্তিকাটি প্রকাশ শুধুই সময়ের অপেক্ষা। নবীনচন্দ্র দাশের পরিবারের সদস্য তথা পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা ধীমান দাশ বলেন “ডাক বিভাগ আমাদের কাছে নবীনচন্দ্রের জীবনী ও ছবি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। আমরা তা দিয়েছি। ওঁরা এবার ঠিক করবেন কীভাবে তা প্রকাশ করবেন। তবে বিশেষ কভার পেজে স্থান তো খুব বেশি থাকে না। রসগোল্লা নিয়ে যদি ডাক বিভাগ কিছু স্মারক প্রকাশ করে, তা বাংলাকে সম্মান জানানো তো বটেই”। ডাক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জীবক বড়ুয়া, যিনি এই বিভাগের দায়িত্বে, তিনি বিশেষ কিছু বলতে চাননি।
এদিকে রসগোল্লার স্বীকৃতি নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হতে চলেছে। ওড়িশা ফের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করতে চলেছে। সেখানকার মিষ্টি ব্যবসায়ী সমিতির দাবি “কোথাও বলা হয়নি বাংলার রসগোল্লা আদি ও অকৃত্রিম। বাংলা তাদের মতো করে এই মিষ্টি বানায়। তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্ত আমরাও রসগোল্লা নামে মিষ্টি বানাতে পারি। এ নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সেই উদ্যোগ কার্যকর করতে এগোচ্ছি আমরা। তার নাম ওড়িশার রসগোল্লা হতেই পারে”। অর্থাৎ লড়াইয়ে ইতি হয়নি এখনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.