সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ১৭,০০০ কোটি টাকার রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নাম করে ভুয়ো চিঠি পাঠানো হয়েছে সিবিআইকে, শনিবার এমনই অভিযোগ তুললেন খোদ সিবিআই ও ইডি কর্তারা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়ে বলে, ওই ভুয়ো চিঠিতে এক ডজনেরও বেশি রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে।
প্রায় এক বছর আগে ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে সিবিআইকে। চিঠিতে এক ইডি কর্তার স্বাক্ষরও রয়েছে। কিন্তু এখন ইডি কর্তারা জানাচ্ছেন, ECIR/02/2015/KOL/A.K.S/ 822- এই রেফারেন্স নম্বরের কোনও চিঠিই ২০১৫-র ১৪ জুলাই পাঠানো হয়নি। সিবিআইয়ের এসপি ভুবনেশ্বরকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। ওই ভুয়ো চিঠির বক্তব্য, রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি জানতে চায় ইডি। একইসঙ্গে রোজভ্যালি গ্রুপের সিএমডি গৌতম কুণ্ডুকে জেরা করে সিবিআই কী জানতে পেরেছে, সেই তথ্যও জানতে চাওয়া হয় ওই জাল চিঠিতে।
ওই চিঠিতেই নাম রয়েছে মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাল-সহ অন্যান্য নেতার। ইডি কর্তাদের অভিযোগ, ওই চিঠিতে কী করে মদন মিত্রকে রাজ্যের মন্ত্রী বলে উল্লেখ করা হল? কারণ, সেই সময় মদন মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ বিষয়ে ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এক ইডি কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিঠিটি যে জাল, সে বিষয়ে ইডি কর্তাদের কাছে এখন যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, কে বা কারা ওই চিঠি পাঠালেন সিবিআইকে? ইডি কর্তারা হন্যে হয়ে সেই এক বা একাধিক অভিযুক্তদের খুঁজছেন।
ইডি সূত্রে খবর, যে রাবার স্ট্যাম্পটি ওই চিঠিতে ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি আসল স্ট্যাম্পের সাইজের চেয়ে আলাদা। কিন্তু এত বড় সাহস কার হল যে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে চিঠি পাঠাবে? তাহলে কি এর পিছনে রয়েছে কোনও বড় রাজনৈতিক অভিসন্ধি? ইডি কর্তারা আরও জানাচ্ছেন, চিঠির শুরুতেই ইডি কখনও রাবার স্ট্যাম্প ব্যবহার করে না। সেই দেখেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, দিল্লি থেকে এই কুকর্মটি হয়েছে সম্ভবত। কারণ, সেখানে স্ট্যাম্প জাল করে সমন পাঠানোর একটি চক্র সক্রিয়। মূল দোষীকে খুঁজে বার করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.