Advertisement
Advertisement

রোবট বেডে মাতৃত্বের স্বাদ! বিপ্লব মেডিক্যালের লেবার রুমে

রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে লেবার রুমে এমন রিমোট চালিত শয্যা এই প্রথম।

Robot bed in Calcutta Medical College
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 28, 2018 9:56 am
  • Updated:December 28, 2018 9:56 am  

গৌতম ব্রহ্ম: এবার রোবট বিছানায় শুয়ে মা হওয়ার স্বাদ পাবেন প্রসূতিরা। বৃহস্পতিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইডেন বিল্ডিংয়ের তিনতলায় নতুন লেবার রুমের উদ্বোধন হয়। সেখানেই বারোটি শয্যার মধ্যে রয়েছে দু’টি রিমোট চালিত ‘রোবট বেড’। রোগী বিছানায় শুয়ে কারও সাহায্য না নিয়ে শয্যা উপরে তুলতে বা নামাতে পারবেন। ডাক্তার-নার্স দূরে বসেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন শয্যার গতিবিধি। এমনটাই জানালেন মেডিক্যালের সুপার ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। আপাতত ‘নর্মাল ডেলিভারি’ করানোর কাজে ব্যবহার করা হবে এই দু’টি বেড। কিন্তু প্রয়োজনে প্রসূতিকে এই বেডে চড়িয়ে ওয়ার্ডে বা ‘হাই ডিপেডেন্সি ইউনিট’-এ স্থানান্তরিত করা যাবে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে লেবার রুমে এমন রিমোট চালিত শয্যা এই প্রথম। এমনটাই দাবি করলেন মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. পার্থ মুখোপাধ্যায়। জানালেন, “আশা করছি এই শয্যা প্রসূতিদের সাহায্য করবে। উপকৃত হবেন ডাক্তার-নার্সরাও।”

[জানেন, মেট্রোয় হঠাৎ বিপদে পড়লে কী কী করা উচিত?]

মেডিক্যালের ইডেন হাসপাতালে প্রায় তিনশো বেড রয়েছে। সবটাই প্রসূতিদের জন্য। বছরে প্রায় ১৪ হাজার প্রসব হয় এখানে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ নর্মাল ডেলিভারি। সুতরাং, লেবার রুমের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। অথচ, আগে ওয়ার্ডের তিন জায়গায় ছড়িয়ে ছিল লেবার রুম। ফলে, নজরদারি চালাতে বেশ সমস্যা হত ডাক্তার-নার্সদের। নতুন লেবার রুম আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরিবেশ তৈরি করবে। মত মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ডা. নির্মল মাজির। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রসূতি জানালেন, শারীরিক সুবিধার জন্য অনেক সময় বিছানার ঢাল বদলাতে হয়। কিন্তু নার্স দিদিরা এত ব্যস্ত থাকেন যে সবসময় দ্রুত সাড়া দিতে পারেন না। রিমোট চালিত বেড হলে রোগী নিজেই বিছানার সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে, রিমোট চালানোটা জানতে হবে। নাহলে আবার হিতে বিপরীত হবে। নতুন লেবার রুমের পাশেই মোট ৯ শয্যার এইচডিইউ খোলা হচ্ছে। প্রসবের পর অনেক প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজন হয়। পার্থবাবু জানালেন, রিমোট চালিত শয্যা দু’টি তো বটেই বাকি ১০টি শয্যার গতিবিধিও ম্যানুয়ালি এদিক-ওদিক করা যাবে। চাকাও লাগানো আছে। ফলে রোগীকে লেবার রুম থেকে সরাসরি ওয়ার্ডে বা এইচডিইউ-তে নিয়ে আসা যাবে। লেবার রুমের পাশে থাকছে দু’টি ৬ শয্যার অবজারভেশন ওয়ার্ড ও একটি ৮ শয্যার ‘ট্রায়াজ রুম’।

Advertisement

[ভেস্তে গেল বৈঠক, অব্যাহত অ্যাপ ক্যাব চালকদের আন্দোলন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement