কলহার মুখোপাধ্যায়: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার দমদমের জগদীশপুরে। এবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢ়ার পচা গলা দেহ। দেহ আগলে বসেছিলেন মৃতার ভাই। দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে দমদম থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই দমদমের জগদীশপুর এলাকার বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা অনুমান করেন রুমা দত্তের বাড়ি থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও প্রখর হয় গন্ধ। এরপরই দমদম থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে খোলাই রয়েছে রুমা দত্তের বাড়ির দরজা। ভিতরে ঢুকতেই তাঁরা দেখতে পান বিছানার উপর পড়ে রয়েছে রুমা দেবীর দেহ। পাশেই বসেছিলেন তাঁর ভাই বিশ্বরূপ দত্ত। সে এমন ভঙ্গিতে বসেছিল যেন দিদিকে পাহারা দিচ্ছে। এরপরই পুলিশের তরফে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দুই ভাইবোন ওই বাড়িতে থাকতেন। দু’জনেরই মানসিক কিছু সমস্যা ছিল। কখনই প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিশতেন না তাঁরা। তাই এলাকার বাসিন্দারাও খুব একটা তাঁদের খোঁজ খবর রাখতেন না। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিবাহিত রুমা দেবী। তবে অনেক আগেই স্বামী বিশ্বনাথ দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার ভাই জানিয়েছেন দিদিকে পাহারা দিচ্ছিল সে। এর থেকেই কিছুটা স্পষ্ট অভিজিতের মানসিক অবস্থা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণেই অভিজিৎ বাবু এহেন ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অসুস্থতার কারণেই রুমা দেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন দমদম থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.