ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ ও তনুময় ঘোষাল: ফের শহরে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। অকুস্থল এবার বেহালার সরশুনা। ছেলের মৃতদেহ তিনদিন ধরে আগলে রাখল বাবা, মা ও বোন। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আজ, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতেই পরিষ্কার হয় বিষয়টি। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। সরশুনা থানার পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকতেই উদ্ধার হয় দেহ।
জানা গিয়েছে,সরশুনা থানার অন্তর্গত রাখাল মুখার্জি রোডের একটি আবাসনের ৩ তলায় ছেলে দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ ওঠে বাবা মা ও বোনের বিরুদ্ধে। এদিন সকালবেলায় যখন সেই দেহ থেকে পচা গন্ধ বের হতে থাকে তখন এলাকার মানুষ সরশুনা থানায় খবর দেন। তারপর থানা থেকে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান যে, এই ব্যক্তি কম করে দু-তিনদিন আগে মারা গিয়েছে। এলাকার লোকেদের দাবি, মৃত ব্যক্তির বাবা আরএন চট্টোপাধ্যায় কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও মা এবং বোন দুইজনেই পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্যহীন। সরশুনা থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, প্রতিবেশীদের একাংশের বক্তব্য, দিন তিনেক আগে টিভি সারাতে গিয়ে মাথায় চোট পান দেবাশিস। তারপর তাঁকে বিনা চিকিৎসায় রেখে দেওয়া হয় বলে দাবি। সেই থেকে কোনওভাবে মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[শহরে ‘ছেলেধরা’ গুজবে কাদের ইন্ধন, খোঁজ নিচ্ছে লালবাজার]
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে দিদির মৃতদেহর সঙ্গে ৬ মাস একঘরে বাস করে শিরোনামে আসে পার্থ দে। তারপর সেই ঘটনা রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ড নামে বিখ্যাত হয়ে যায়। গতবছর বেহালাতেই নিজের মায়ের মৃতদেহ দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজারে রেখে পেনশন তোলার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সরশুনার ঘটনা সেই স্মৃতিই ফের উসকে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.