Advertisement
Advertisement

Breaking News

১৮ দিন ধরে মায়ের দেহ আগলে ছেলে! রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সল্টলেকে

মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, আটক ছেলে।

Robinson Street rerun in Salt Lake
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:December 24, 2018 10:25 am
  • Updated:December 24, 2018 3:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির একদিকের পাঁচিল ভাঙা।বাইরের দেওয়ালে রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি আঠা দিয়ে লাগানো।বাড়ির ভিতরে ১৮ দিন ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন ছেলে! রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সল্টলেকের বি ই ব্লকে। কীভাবে মারা গেলেন ওই বৃদ্ধা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ছেলে।

[দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন]

Advertisement

এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন গোরা ভট্টাচার্য। কয়েক বছর আগে প্রয়াত হন তিনি।তাঁর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।ছেলের দাবি, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।কেউ কেউ আবার বলেন, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছিল সরকারি হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসকের।সল্টলেকের বিই ব্লকের বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য ও  ছেলে মৈত্রেয়।প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ার কারও সঙ্গে মেলামেশা ছিল না মা ও ছেলের।মানসিকভাবে সুস্থও নন মৈত্রেয়।বাড়িটিকে আড়াল করতে একদিকে ত্রিপল ঠাঙিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।ভেঙে দিয়েছিলেন পাঁচিলের একাংশ।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বছর খানেক আগে যখন মৈত্রেয়ের বাবা গোরা ভট্টাচার্য মারা যান, তখন কাউকে কিছু না জানিয়ে দেহ দাহ করে দিয়েছিলেন মা ও ছেলে।শুধু তাই নয়, বাড়ির বাইরের দেওয়ালে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এমনকী, নিজের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের অরিজিনাল সার্টিফিকেটও আঠা দিয়ে লাগিয়ে রেখেছিলেন মৈত্রেয়! গত কয়েক দিন ধরে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশের খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।রবিবার রাতে  সল্টেলেক বিই ব্লকের ওই বাড়িতে হানা দেয় বিধানগর উত্তর থানার পুলিশ।দরজা ভেঙে যখন বাড়িতে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা, তখন তাঁরা দেখেন,  কৃষ্ণাদেবীর দেহ আগলে বসে রয়েছেন মৈত্রেয়।মৃতদেহটি পড়েছিল খাটে।তদন্তকারীদের দাবি, ওই যুবক জানিয়েছেন, আঠেরো দিন আগে মারা গিয়েছেন তাঁর মা।বিডন স্ট্রিটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সে খবর জানিয়েও এসেছেন তিনি।

কিন্তু, দাহ না করে মৃতদেহ আগলে কেন বসেছিলেন মৈত্রেয়? পাড়া প্রতিবেশীদেরই বা খবর দেওয়া হয়নি কেন? সদুত্তর মেলেনি।মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৈত্রেয়কে।তদন্তকারীদের দাবি, আঠেরো দিন নয়, বড়জোর দিন সাতেক আগে মারা গিয়েছেন কৃষ্ণা ভট্টাচার্য। মুখে কুলুপ এঁটেছেন মৈত্রেয় ভট্টাচার্যের প্রতিবেশীরা।

[ বড়দিন উপলক্ষে মেট্রোর সময়সূচিতে বদল, বিপাকে যাত্রীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement