Advertisement
Advertisement

খোদ শহর কলকাতায় আস্ত রাস্তা চুরি! মেয়রের দ্বারস্থ এলাকাবাসী

ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

Road 'vanishes' in Kolkata, locals approach Mayor

ছবি: ফাইল

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:February 8, 2020 6:06 pm
  • Updated:February 8, 2020 6:06 pm  

অভিরূপ দাস: টাকা পয়সা বা মোবাইল নয়। আস্ত একটা রাস্তা চুরি করে নিয়েছে প্রতিবেশি। এমনই অভিযোগ এল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে। বেলেঘাটা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইন্দ্রাণী বালা। ৬৭ডি বদন রায় লেনে বাড়ি ইন্দ্রাণী দেবীর। এই বদন রায় লেনের পাশেই সুরেন সরকার লেন। দুই লেনের সংযোগকারী রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর তলা দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের লাইন, জলের পাইপ। এলাকার বাসিন্দারা সকলেই এই রাস্তা ব্যবহার করেন। আচমকা এক সকালে দেখা যায় রাস্তা বন্ধ করে উঠতে শুরু করেছে একটি বাড়ি! যা দেখেশুনে তাজ্জব বনে গিয়েছেন স্থানীয়রা।

শনিবার দুপুরে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ইন্দ্রাণী দেবী। তাঁর অভিযোগ কীভাবে কর্পোরেশনের রাস্তাকে কেউ ব্যক্তিগত রাস্তা বলে দাবি করতে পারে। ইন্দ্রাণী দেবীর কথায়, যাঁরা রাস্তা দখল করে বাড়ি তুলছেন তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁরা জানিয়েছেন, এটা প্রাইভেট ল্যান্ড। আমাদের ব্যক্তিগত জমি। বাড়ি তুলতেই পারি। ক্ষুব্ধ ইন্দ্রাণী দেবীর কথায়, “এই রাস্তা দীঘর্দিন ধরে আমরা ব্যবহার করি। রাস্তায় পুরসভার আলো রয়েছে। সেই রাস্তাকে নিজের বলে জোচ্চুরি করছে ওই ব্যক্তি। এই এলাকা কলকাতা পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত। এলাকার কাউন্সিলর পবিত্র বিশ্বাসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

ইন্দ্রাণী দেবীর অভিযোগ, কাউন্সিলরকে বারবার বলা হলেও তিনি বিষয়টি গা করছেন না। অভিযোগ জানানো হয়েছে তিন নম্বর বরোর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকেও। কিন্তু তিনিও কোনও ব্যবস্থা নেন নি। কীভাবে পুরসভার রাস্তা বেমালুম হাওয়া হয়ে যেতে পারে। দুদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন ফিরহাদ হাকিম। আসছে সোমবারই এলাকায় আধিকারিকদের যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। শিয়রে পুরভোট। বেলেঘাটার এই ওয়ার্ড থেকে ইতিমধ্যেই ভুরি ভুরি অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। খোদ স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসে পৌঁছেছে মেয়রের কাছে।

শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফোন করে চায়না দত্ত নামে এক মহিলা জানান, কাউন্সিলর অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করছেন। টাকা ছাড়া কথা বলছেন না। যদিও সে অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি মেয়র। তাঁর কথায়, “সামনে পুরভোট। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থকরাই ইচ্ছাকৃতভাবে ফোন করে নিন্দে করছেন। এভাবে কারওর সম্পর্কে মিথ্যে সমালোচনা করে লাভ নেই। কে কি কাজ করছে তার জবাব ভোটবাক্সে সাধারণ মানুষ দেবে।” এই বিষয়ে কাউন্সিলর পবিত্র বিশ্বাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement