সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি। শুক্রবার সকালে জোড়াবাগানের বেনিয়াটোলা স্ট্রিটে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ির সিঁড়ি। বাড়ির ভিতর আটকে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন। পাশের বাড়িতে মই লাগিয়ে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। পুরসভার দাবি, ওই বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু মেরামতির উদ্যোগ নেননি বাড়ির মালিক। বিপজ্জনক বাড়িতেই থাকছিলেন বাসিন্দারা।
[শহরে রমরমিয়ে চোরাই বাইকের কারবার, টাকা যাচ্ছে বাংলাদেশি জেহাদিদের তহবিলে]
এ শহরে ঝাঁ চকচকে আবাসন যেমন আছে, তেমনি পুরনো বাড়ির সংখ্যাও কম নয়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশির বাড়িরই বেহাল দশা। কলকাতা পুরসভার দাবি, বেশিরভাগ বাড়িতেই থাকে ভাড়াটিয়ারা। মালিক থাকেন অন্যত্র। স্রেফ মানবিক কারণে ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করা হয় না। বাড়িটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে পুরসভা। বাড়ির বাইরে সাইনবোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া হয়। মালিককে বাড়িটি অবিলম্বে সারিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে যে কাজ হয়, এমনটা নয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার যেমন ঘটল উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানে।
শুক্রবার সকালে জোড়াবাগানের বেনিয়াটোলা স্ট্রিটের একটি বাড়ির সিঁড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময়ে বাড়িতেই ছিলেন বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল। কিন্তু সিঁড়িটাই যে ভেঙে পড়েছে! তাই ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। শেষপর্যন্ত, পাশের বাড়ি থেকে মই লাগিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়। ওই বাড়ির আরও কয়েকটি বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলে ফেলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার দাবি, বেনিয়াটোলা স্ট্রিটের ওই বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। বাইরে সাইনবোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই সাইনবোর্ডটি চুরি হয়ে গিয়েছে। ওই বাড়িটি যাঁর, তিনি আর মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেননি। গত বছর শহরের একের পর এক পুরানো বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। উত্তর কলকাতায় টালায় একতলা বাড়ি একাংশ ভেঙে পড়ায় প্রাণ গিয়েছিল এক কিশোরীর। বড়বাজারের শিবতলায় মৃত্যু হয়েছিল একই পরিবারের তিনজনের।
[ বউদির অশ্লীল ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়াল দেওর, তারপর…]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.