ছবি: শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়।
শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়: এক যুগ পেরিয়ে গিয়েছে। সেবার কলকাতায় নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি তুলে পথে নেমেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে মীরা ভট্টাচার্যের সেই মোমবাতি মিছিল হোক কিংবা জনতার চাপ অথবা রাজনৈতিক চাল – যে কোনও কারণেই হোক, ২০০৪ সালে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সাজাই কার্যকর হয়েছিল। তা নিয়ে বিতর্ক আছে এখনও। ১২ বছর পর আবার কলকাতারই এক মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার বিচার চেয়ে এবার মিছিলে শামিল সদ্যপ্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন। বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা ‘পথের দাবি’র মিছিলে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা গেল তাঁকে। বললেন, ”সবাই যা চাইছে – জাস্টিস, আমিও সেটাই চাইছি।” তাঁর এই পথে নামা মনে করিয়ে দিচ্ছে তাঁর মায়ের সোচ্চার হওয়ার দিনটিকে।
আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar Hospital) সুবিচারের দাবিতে প্রায় রোজই কলকাতার রাজপথে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মিছিল হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ‘পথের দাবি’ নামে সেই মিছিলের আহ্বান জানায় নাগরিক সমাজ। বিকেলে কলেজে স্ট্রিট (College Street) থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে শামিল হলেন সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সন্তান সুচেতন। শামিল সংগীতশিল্পী দুর্নিবার, অভিজিৎ বর্মন (পটা), সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী, অভিনেতা চন্দন সেন, বাদশা মৈত্ররা। মিছিলের সামনের সারিতেই সুচেতন। তাঁর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে ‘সামাজিক, প্রশাসনিক সবক্ষেত্রে ধর্ষণ সংস্কৃতি বন্ধে’র দাবি। ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল‘-এর মুখোমুখি হয়ে সুচেতন বললেন, ”এই মুহূর্তে গোটা সমাজ যা চাইছে, বিচার। আমরা সবাই তাই চাইছি। সঠিক বিচার হোক।”
অভিজিৎ বর্মন, দুর্নিবাররা বললেন, ”এমন অপরাধের কঠোরতম সাজা না হলে আমরা আর মানুষ হিসেবে নিজেদের কাছে দাঁড়াতে পারব না।” অভিনেতা চন্দন সেন, বাদশা মৈত্ররা আবার নিছক ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের সাজাই চান না। দুজনেরই দাবি, ”মূল ঘটনায় তো বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, দোষীর কঠোর সাজা হবে। কিন্তু সেদিন সকাল থেকে যারা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে জড়িত, সেসব পুলিশ অফিসার, ফরেনসিক বিভাগের ডেমনস্ট্রেটরদেরও বিচারের আওতায় এনে কড়া শাস্তি দেওয়া হোক।” এদিনের দীর্ঘ মিছিল থেকে সিবিআইয়ের উদ্দেশেও বার্তা দেওয়া হয়েছে, ”সিবিআই-কে চেপে ধর/জাস্টিস ফর আর জি কর।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.