Advertisement
Advertisement

Breaking News

RG Kar Hospital

‘রাতে হামলার দায় আপনারই’, অধ্যক্ষ ঢুকতেই ঘিরে বিক্ষোভ আর জি করের নার্সদের

প্রায় ঘণ্টাখানেক ঘেরাও ছিলেন প্রিন্সিপাল। পডুয়াদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'এক-দুদিন সময় দাও, স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।'

RG Kar Hospital: Nurses and students gherao Pricipal to get written assurance on security
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 15, 2024 4:25 pm
  • Updated:August 15, 2024 4:36 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি হাসপাতালের ভয়াবহ ঘটনার কিনারা হয়নি এখনও। তারই মাঝে স্বাধীনতা দিবসের মাঝরাতে আচমকা দুষ্কৃতী হামলায় বড়সড় ক্ষতি হয়েছে হাসপাতালের। একেই কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা অমিল ছিল। তার উপর মাঝরাতের হামলায় প্রায় ১৮ টি বিভাগ তছনছ হয়ে যাওয়ায় কাজ চালানোই মুশকিল। ফলে নতুন করে আন্দোলন শুরু হচ্ছে সেখানে। এবার শামিল নার্সরাও। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পাল ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নার্সরা। প্রশ্ন তোলেন, ”কাল রাতে কোথায় ছিলেন? দুগাড়ি লোক এসেছিল রাতে। কোথায় ছিলেন আপনি? দায়ভার ম্যাডামকে নিতেই হবে।” নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা লিখিত প্রতিশ্রুতি চান তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ঘেরাও থাকেন প্রিন্সিপাল।

তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় এমনিতেই তপ্ত আর জি কর হাসপাতাল (RG Kar Hospital)। ঘটনার জেরে কার্যত চাপে পড়েই পদত্যাগ করেছেন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সকালে তিনি ইস্তফা দেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করে স্বাস্থ্যভবন। এদিকে, আর জি করের নতুন প্রিন্সিপাল (Principal)হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বাস্থ্যভবনের (Swasthya Bhaban)ওএসডি পদে থাকা ডাঃ সুহৃতা পালকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অশিক্ষিত’, ‘বাংলা সিনেজগতের কলঙ্ক, ভারতবর্ষ বানান ভুল লেখায় মধুমিতাকে তুলোধনা ঋদ্ধির]

বৃহস্পতিবার তিনি পুলিশি ঘেরাটোপে হাসপাতালে ঢুকতেই নার্সদের (Nurse) বিক্ষোভের মুখে পড়েন ডাঃ সুহৃতা পালকে। নার্সদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ”আমিও নিরাপত্তা দিতে চাই। আমার জন্মের পর এমন ঘটনা দেখিনি, তোমরা বিশ্বাস করো। আজ থেকে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।” তাতে নার্সরা পালটা দাবি করেন, ”আজ রাতে আপনাকেও থাকতে হবে।” প্রিন্সিপাল বলেন, ”এক-দুদিন সময় দাও। স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়ুয়ারা সমস্বরে বলতে শুরু করেন, ”মিটিং পে মিটিং, কাজ কী হচ্ছে? নিরাপত্তা (Security) নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাই। বলুন দেবেন।” এর পর তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘নো সেফটি, নো সার্ভিস।’ প্রিন্সিপাল বলেন, ”সময় দিতে হবে। সব সমাধানের চেষ্টা করব।” তবে তাঁর এসব কথায় চিঁড়ে ভেজেনি। উলটে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে।

[আরও পড়ুন: RG Kar: মৃতার বাড়িতে ‘আত্মহত্যার’ খবর দেন অ্যাসিসট্যান্ট সুপার! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement