সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তবে পরিবারের দাবি, তাঁদের প্রথমে জানানো হয়েছিল আত্মহত্যা করেছেন তরুণী। যদিও একথা তিনি বলেননি বলেই অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় দাবি করেন সন্দীপ ঘোষ। খুন নাকি আত্মহত্যা – এই দ্বন্দ্বে এবার বামেদের বিঁধলেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। সিবিআইকে নথি জমা দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় বামদের বিঁধলেন তৃণমূল নেতা।
তৃণমূল নেতা বলেন, “মনে রাখতে হবে, ২০০১ সালে আর জি করে সৌমিত্র বিশ্বাসের খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছিল। যাঁরা এখন হুজুগ তুলছেন, অরাজকতার কথা বলছেন, তাঁরা ২০০১ সালের কথাও মনে রাখবেন।” উল্লেখ্য, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া ছিলেন সৌমিত্র বিশ্বাস। গত ২০০১ সালে রহস্যমৃত্যু হয় তাঁর। প্রাক্তনীদের অভিযোগ, হাসপাতালে চলা পর্ন ও সেক্স ব়্যাকেটের কথা জেনে ফেলেন সৌমিত্র। সে কারণে হস্টেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। পরে হস্টেল থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দিনকয়েক আগে প্রাক্তনী চিকিৎসক বৈদ্যনাথ ঘোষ দস্তিদার সৌমিত্রর রহস্যমৃত্যু নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন। তিনি লেখেন, “যখন এক বিভাগীয় প্রধান ও সিপিএমের চিকিৎসক নেতাদের এই অভিযোগ উঠেছিল তখন সবাই চুপ ছিলেন কেন?” সৌমিত্র বিশ্বাসের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা বেলা এগারোটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন কুণাল ঘোষ। তাঁর হাতে ছিল নথিপত্র। তৃণমূল নেতার দাবি, আর জি কর সংক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসকের দেওয়া নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। সিবিআই দপ্তর থেকে বেরনোর সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়েও মন্তব্য করেন কুণাল। তিনি বলেন, “সিবিআই যথাসাধ্য কাজ করছে। রবিবারের মধ্যে আমরা আশা করেছিলেন, তদন্তে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে। আগামী ২৩ আগস্ট ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হবে। সে দিন রিমান্ডে সিবিআই ইতিবাচক অগ্রগতির কথা জানাবে বলে আশা করছি। এই ঘটনায় যাকে ধরা হয়েছে, তিনিই একমাত্র অভিযুক্ত, না আরও কেউ জড়িত, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ ২৩ তারিখের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছ থেকে জবাব পাওয়া যাবে বলে আমাদের আশা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.