সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর কেটে গিয়েছে তিনটে দিন। কিন্তু আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোনও অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকী কেউ এখনও গ্রেপ্তারও হয়নি। আর এই ইস্যুতে সিবিআই-এর উপর চাপ বাড়াল তৃণমূল। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একাধিক দাবি তুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর দাবি, ”এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতির খবর নেই। কলকাতা পুলিশ কিন্তু তদন্ত অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। যাকে গ্রেপ্তার করেছিল, তাকেই সিবিআই (CBI) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তাকে ২৩ তারিখের পর আবার আদালতে পেশ করতে হবে। আমরা চাই, ওইদিন আদালতে যে তদন্ত রিপোর্ট দেবে সিবিআই, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। সকলে জানতে পারুক।”
আর জি করে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার তদন্ত নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। প্রথমে কলকাতা পুলিশ, তার পর সিবিআই – গ্রেপ্তার মাত্র ১। তাকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার তার পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি মিলেছে। কিন্তু এতদিন ধরে তদন্তের অগ্রগতি কী? তা নিয়ে প্রশ্ন সব মহলে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্নই তুলেছেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে, তারও যোগ্য জবাব দিয়েছেন তিনি।
কুণাল ঘোষের কথায়, ”মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন উনি পথে? এখন তো তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। ওঁর অধিকার আছে, ‘আমরা বিচার চাই’ স্লোগান তোলা। কট্টর বিজেপি, কট্টর সিপিএম-রা যেভাবে আন্দোলনের স্থানে গিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, তা নিন্দনীয়। ন্যায়বিচার চাইতে যাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই হত্যামামলায় জেলে গিয়েছেন। এসব রাজনীতি লজ্জার, এসব চলবে না।”
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল ঘোষ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, আবারও আমরা বলছি, কর্মবিরতি তুলে নিন। পরিষেবা সচল করতে কাজে নামুন। কারণ, কর্মবিরতির কারণে প্রচুর সাধারণ মানুষজন চিকিৎসা না পেয়ে বিপদে পড়ছেন। আর যাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, তাঁদের অনুরোধ, নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন। আর প্রতিবাদের নামে উত্তেজক বক্তব্য নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.