সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। শুধু কলকাতা কিংবা বাংলায় নয়। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন হেনস্তা ও খুনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি চলছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া চিকিৎসা বন্ধের ডাক দিয়ে শনিবার ধর্মঘট করছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) সর্বভারতীয় শাখা।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার কলকাতার পথে হেঁটে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসির দাবিতে সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সঙ্গে মিছিলে শামিল হলেন দলের সর্বস্তরের মহিলা জনপ্রতিনিধি। এই ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাম জমানার ধর্ষণ এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নারী নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরে বিরোধীদেরই বেশি করে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital)যৌন হেনস্তা-হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট মাঝরাতে ‘মেয়েদের রাস্তা দখল’ অভিযান যথেষ্ট সফল হয়েছে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মধ্যরাতে নারীরা পথে নেমে এসে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। কিন্তু তার ফাঁকেই আর জি করে ঘটে গিয়েছে আরও এক অনভিপ্রেত ঘটনা। সেই রাতেই বহিরাগত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে হাসপাতালের প্রায় সর্বত্র। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে অন্তত ১৮ টি বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি এতটাই হয়েছে যে সেখানে পরিষেবা চালানো কার্যত অসম্ভব। এমন পরিস্থিতির আঁচ পাননি বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ‘ব্যর্থতা’ মেনে নিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সিপিএম-বিজেপি মিলে ওই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। শুক্রবার ডোরিনা ক্রসিংয়ের সভা থেকে তিনি বলেন, ”আপনারা অপেক্ষা করলেন না। এটা নিয়ে রাজনীতি করলেন। আমরা কিন্তু চাইনি। আর আপনারা এত কথা বলছেন। বাণতলায় ডাক্তার অনিতা দেওয়ানকে ধর্ষণ-খুনের কথা ভুলে গিয়েছেন? তাপসী মালিক, কেশপুর, নানুরের সব ঘটনা ভুলে গিয়েছেন? আমি তো সেসময় সব জায়গায় ছুটে গিয়েছিলাম। সিপিএম (CPM) এখন এত কথা বলছে কেন?” অন্যদিকে বিজেপি শাসিত রাজ্যের নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গও তুলে আনেন তিনি। মণিপুর, হাথরাস, উন্নাওয়ের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিলেন মমতা। প্রশ্ন তুললেন, ‘‘মণিপুর সামলাতে পেরেছেন? নাগাল্যান্ড, অসম সামলাতে পেরেছেন? এখন বিজেপির (BJP) হাতের তামাক খাচ্ছে কংগ্রেস, সিপিএম।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.