ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও গৌতম ব্রহ্ম: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একটানা আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম ডেডলাইন পার হয়ে গেলেও কর্মবিরতিতে অনড় তাঁরা। পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইমেল করে ১০ জন প্রতিনিধিকে ডাকা হয়েছিল নবান্নে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষাই সার! সাড়া মিলল না আন্দোলনকারীদের। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। পালটা রাজ্যকেই ডেডলাইন বেঁধে দেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের পাঁচ দাবি মানতে হবে। তবেই তাঁরা কাজে ফেরার প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। রাজ্যের দাবি না মানায় কাজে ফেরেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত বেহাল। এমন পরিস্থিতিতে এদিন সন্ধে ৬টা ১০ মিনিটে তাঁদের ইমেল করা হয়। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির ইমেল আইডি থেকে ইমেল করে ১০ জন প্রতিনিধিকে নবান্নে ডাকা হয়। কিন্তু তাঁরা সেই ডাকে সাড়া দেননি।
এ প্রসঙ্গে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, “কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্ট অর্ডার দিয়েছিল, আজ ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার কথা। ৫টা অবধি মুখ্যমন্ত্রী দেখেছেন তারা কী স্ট্যান্ড নেন। কিন্তু ডাক্তাররা সরে আসেননি।” নবান্নে ডাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “৫টার পর আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাছে খবর গিয়েছিল যদি তাঁরা চাইলে কথা বলতে পারেন। ৬টা ১০ মিনিয়ে-এ ইমেল গিয়েছিল। দশজন প্রতিনিধি আসতে পারেন। সন্ধে সাড়ে সাতটা অবধি নবান্নে নিজের কেবিনে মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু এখনও অবধি কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মেলের উত্তর আসেনি। সাড়ে সাতটার পর মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যান।”
পরিশেষে রাজ্যের মন্ত্রীর আবেদন, “সাধারণ মানুষ যাতে পরিষেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হন তাই বৈঠকে বসার অনুরোধ করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.