Advertisement
Advertisement

Breaking News

RG Kar Hospital

ধর্ষণ-খুনে জড়িতই নন সঞ্জয়! দাবি আইনজীবীর, তীব্র বিরোধিতা করল সিবিআই

সঞ্জয়ের আইনজীবীর যুক্তি ধোপে টেকেনি। জামিন খারিজ করে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক।

RG Kar Hospital case: Lawyar of accused Sanjay Roy claims that her client is not linked to this case

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 6, 2024 11:41 pm
  • Updated:September 7, 2024 12:02 am  

অর্ণব আইচ: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতই নন সঞ্জয় রায়! তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে এসিজেএমের এজলাসে সঞ্জয়ের জামিন মামলার শুনানিতে এমনই যুক্তি পেশ করলেন লিগাল এডের আইনজীবী কবিতা সরকার। যদিও তাঁর সেই যুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সঞ্জয়ের জামিন খারিজ করে বিচারক পামেলা গুপ্তা তাঁকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার ঘিরে এখনও তোলপাড় রাজ্য। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে স্পষ্ট হয়, তাঁকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ওইদিন ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের ডিউটি ছিল বলে জানা যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ তার কুকীর্তি নিয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়। এর পর একাধিক রিপোর্টে সঞ্জয়েরই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে। সম্প্রতি ডিএনএ রিপোর্টও তার অনুকূল। এই মামলায় সঞ্জয়ই একমাত্র অভিযুক্ত বলে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। আপাতত মামলাটি সিবিআইয়ের তদন্তাধীন। তবে তেমন কোনও অগ্রগতি নেই এখনও পর্যন্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মিলেছে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’, ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন আনন্দ বোস]

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তার জামিন মামলার শুনানিতে আইনজীবী কবিতা সরকার সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেল ধর্ষণ-খুনের সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। উচ্চ আদালতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা নেই। আগের কোনও অপরাধের রেকর্ডও নেই। ফলে জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে আদালতে জানান আইনজীবী। এর পর সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে চান বিচারক। কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে কোনও আইনজীবী তখনও পর্যন্ত উপস্থিত না থাকায় বিরোধিতা করা হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ বিচারক সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ”তবে কি জামিন দিয়ে দেব?” প্রায় ৪৫ মিনিট পর দীপক পোরিয়া নামে আইনজীবী এজলাসে পৌঁছন। তিনি জামিনের বিরোধিতা করেন। এর পর সওয়াল-জবাবের ভিত্তিতে বিচারক সঞ্জয়কে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান।

[আরও পড়ুন: ধর্ষণ করেছিল সঞ্জয়ই! CBI ‘রিপোর্ট’ হাতিয়ার করে বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement