Advertisement
Advertisement
Kunal Ghosh

আর জি করের প্রতিবাদে সরকারি পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান একাধিক ক্লাবের, কড়া প্রতিক্রিয়া কুণালের

ভিডিও বার্তা দিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতা?

RG Kar Hospital case: Kunal Ghosh reacts strongly after many clubs refuses to take govt. donation to organise Durga Puja
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 16, 2024 8:21 pm
  • Updated:August 16, 2024 9:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় সুবিচারের দাবি অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আয়োজনে সরকারি অনুদান ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করেছেন বহু উদ্যোক্তা। সোশাল মিডিয়ায় এনিয়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কথা প্রথম জানিয়েছে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ ক্লাব। সে পথে হাঁটছে আরও অনেকে। আর তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কড়া প্রতিক্রিয়া, ”পুজো একটা অর্থনীতি। সেই অর্থনীতিকে সচল রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই অনুদান ঘোষণা। যদি আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলকে সাহায্য করবেন।”

শুক্রবারই আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরপাড়া শক্তি সংঘ পুজো কমিটি  সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) এনিয়ে পোস্ট করে। সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে তাঁদের বার্তা, ”মেয়ের বিচার দিন, মায়ের পুজো নিজেরা বুঝে নেবো।” পরবর্তীতে একই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায় আরও বেশ কয়েকটি পুজো উদ্যোক্তাদের। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন কুণাল ঘোষ। পুজোর আয়োজনে সরকারের এই অর্থদান যে নিছকই উৎসবের জৌলুস বাড়ানো নয়, অর্থনীতিকে সচল রাখার অনুঘটক, ভিডিও বার্তায় তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তিনি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিটের খরা কাটাতে কমেডির দ্বারস্থ অক্ষয়, কেমন হল ‘খেল খেল মে’? পড়ুন রিভিউ]

কুণাল ঘোষের কথায়, ”এটা একটা ক্যাম্পেন, বীরত্ব দেখানোর। আপনাদের অনেক টাকা আছে, তাই নিচ্ছেন না, ভালো। কিন্তু এই যে আবেগের চিমটি কাটা কথাবার্তা, আসল দুর্গাদের নিরাপত্তা বাড়ান, ৮৫ হাজার টাকা নয়। বাংলায় আসল দুর্গারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ (Secured)। যাঁরা ৮৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন না, তাঁদের বলি, পুজো একটা অর্থনীতি কুমোরটুলির মায়েরা অপেক্ষা করে থাকেন, কবে শরৎকাল আসবে। ডেকরেটর্স, আলো, প্রতিমাশিল্পী, ফুলচাষি, কুটিরশিল্প – এই সকলের কাছে যাতে টাকা পৌঁছয়, শ্রমজীবী মানুষ যাতে হাতে টাকা পান, তার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দেওয়া। যাঁরা বয়কট করছেন, তাঁরা যেন গরিব মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছে দিয়ে আসেন। এই টাকা যাতে পুজো অর্থনীতিতে সঞ্চালিত হয়, তার জন্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamta Banerjee) ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছেন।”

[আরও পড়ুন: যিনি নাচেন, তিনি বন্দুকও চালান! অলিম্পিক শেষে মনুর নজর ভরতনাট্যমে]

তিনি মনে করিয়ে  দেন, ”গরিব মানুষ, মুটে-মজুর-কুলিরাও কিন্তু পুজোয় বিসর্জনের দিন রংচঙে জামা পড়ে বিউগল নিয়ে, তাসা পার্টি নিয়ে যায়। যাঁরা টাকা প্রত্যাখ্যান করার আঁতলামি দেখাচ্ছেন, তাঁরা যেন নিজেদের পকেট এই টাকা দেন। বিপ্লবীয়ানা করছেন, করুন। কিন্তু গরিব মানুষ যেন নিজেদের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।”

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement