ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আর জি কর হাসপাতালের(RG Kar Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর তার পর সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসা যাবতীয় দুর্নীতির ‘আখড়া’ ভাঙতে তৎপর কর্তৃপক্ষ। স্ক্যানারে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। এমনকী রয়েছেন একাধিক রেসিডেন্স চিকিৎসকও। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পেয়ে কড়া শাস্তির পথে হাঁটতে চলেছে আর জি কর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবারই হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাঁদের তলব করেছিল। বুধবার থেকে ৫১ জন চিকিৎসকের শাস্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তাঁদের হাসপাতালে আসতে হবে, নির্দিষ্ট কাজের সময় পর্যন্ত থাকতেও হবে। কিন্তু কোনওরকম চিকিৎসা পরিষেবায় হাত লাগানো যাবে না। অর্থাৎ ৫১ জনকে কার্যত ‘অকর্মণ্য’ করে দেওয়ার পথে হাঁটছে আর জি কর কর্তৃপক্ষ।
এদিন সকালে হাসপাতালের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে। তাতে ৫১ জন চিকিৎসকের তালিকা দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রেডিওথেরাপি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্স ডক্টর সৌরভ পাল। তাঁর বিরুদ্ধেই একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে হাসপাতালে তো বটেই, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতেও ‘দাদাগিরি’ চালাতেন সৌরভ। কোথায় কোন ডাক্তার নিয়োগ হবে, তাও ঠিক করতেন তিনি। তদন্ত কমিটির মতে, সৌরভ পাল ও কয়েকজন মিলে রীতিমতো সিন্ডিকেট চালাতেন। যা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ হিসেবে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার তাঁদের তলব করা হয়েছিল। ৫১ জনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডাক্তার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। এর পরই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৫১ জনকে ‘অকর্মণ্য’ করার শাস্তির প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে। বুধবার থেকেই তা কার্যকর হতে পারে। অর্থাৎ সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারিতে আর জি কর হাসপাতালে ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরই সেই ঘুঘুর বাসা ভাঙতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্যদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.