সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ আগস্ট আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ১৩ আগস্ট মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্ত করার জন্য সাকুল্যে যে পাঁচদিন সময় ছিল, তাতেই মামলার মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়, বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তদন্তে বেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও হয়।
তার পর আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। প্রশ্ন হল, ১৩ আগস্ট সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর ৩ সপ্তাহ পেরিয়েছে। এই ৩ সপ্তাহে তদন্তের অগ্রগতি কোথায়? এই মামলা নিয়ে এখনও বহু প্রশ্ন ঘুরছে জনমানসে। সেসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে কবে? অতীতে এই ধরনের মামলায় সিবিআইয়ের দীর্ঘসূত্রিতার বহু নজির রয়েছে। এই মামলার গুরুত্ব আদৌ বুঝেছে তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?
এর মধ্যে আর জি কর সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলাও গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সেই মামলায় সিবিআই সঞ্জীব ঘোষকে গ্রেপ্তার করলেও, মূল ধর্ষণ ও খুনের মামলার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রশ্ন আরও রয়েছে, খুন, ধর্ষণের তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? একজনই গ্রেপ্তার, সেটা কলকাতা পুলিশ করেছে। এই ঘটনায় সে একা জড়িত, না চক্র? আপডেট কী? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে যত দেরি হবে ততই জনমানসে বাড়বে সংশয়। প্রতিবাদ, মিটিং মিছিলও হবে। সোশাল মিডিয়ায় গুজবও ছড়াবে।
ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলিও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূলের তরফে তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এমনকী, কংগ্রেসও বুধবার সিবিআই দপ্তর অভিযান করেছে। নাগরিক সমাজের তরফেও দ্রুতই সিবিআই দপ্তর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হবে। অতএব, সময় কম। দ্রুত সিবিআইকে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে শুনানি পিছিয়ে গেলেও সিবিআই রিপোর্ট জমা দেবে। সেই রিপোর্টে কী থাকে সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.