ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এসএসকেএমের বিতর্কিত চিকিৎসক ডা. অভীক দে-র বিরুদ্ধে জমা পড়ল রিপোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ভূরি ভূরি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. উৎপল দাঁয়ের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গড়েছিল স্বাস্থ্যভবন। বুধবার সেই কমিটি এসএসকেএমের অধিকর্তা ডা. মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এবার সেই রিপোর্ট যাবে স্বাস্থ্যভবনে।
ডা. অভীক দে-র বিরুদ্ধে ৩২ দফা অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে যেমন ছিল দুবছর ধরে নিয়মিত ক্লাস না করা, হাজিরা না দেওয়া, রিপোর্ট জমা দেয়নি, বায়োমেট্রিক কাজ না করা, রোগী না দেখা, ‘থ্রেট কালচার’, মর্গে দুর্নীতির মতো বহু অভিযোগ। সূত্রের দাবি, চিকিৎসক অভীক দে লিখিতভাবে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতো এই রিপোর্ট যাবে স্বাস্থ্যভবনে। রেডিওথেরাপি বিভাগের এই ডাক্তারের ভবিষ্যৎ কী, তা ঠিক করবে স্বাস্থ্য প্রশাসন। তিনি কতটা শাস্তি পাবেন, তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, আরেক বিতর্কিত ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট জমা পড়েছে। তবে তাঁর ভবিষ্যৎ ঠিক করেতে আরও কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে। তার পর ঠিক হবে বিরূপাক্ষের ভবিষ্যত।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের তরফে আর জি করের সেমিনার রুমের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে লাল জামা পরা এক চিকিৎসককে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলা হয়েছে। আইএমএ-র বাংলা শাখার তরফে দাবি করা হয়ে, ছবির ওই ব্যক্তি অভীক দে, যিনি এসএসকেএম হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি। তার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে জলঘোলা শুরু হয়। পিজি হাসপাতালের এক চিকিৎসক অপরাধস্থলে কেন এসেছিলেন? কে তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে আর জি কর আবহে অভীকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাহাড় তৈরি হয়। সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তৈরি হওয়া কমিটি এবার রিপোর্ট দিল। যা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্যভবন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.