অর্ণব আইচ: জেল পালানোর পর গা-ঢাকা দিলেও বান্ধবীর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছিল রেজ্জাক। বান্ধবী তার সঙ্গে এসে দেখাও করে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই বান্ধবীর সূত্র ধরেই পালানোর ১৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার নোদাখালি থেকে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ল বন্দি রেজ্জাক।
গত ১৬ আগস্ট আদালতে পুলিশকর্মীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পালিয়েছিল রেজ্জাক। বান্ধবীই আদালতে তার হাতে লঙ্কার গুঁড়ো তুলে দিয়েছিল কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। রেজ্জাকের বান্ধবী ওই তরুণীকেও জেরা করা হচ্ছে। তবে আদালত থেকে পালানোর ছক যে রেজ্জাক জেলে বসেই করেছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ আধিকারিকরা।
[ আত্মহত্যা রুখতে নয়া পদক্ষেপ, মেট্রো স্টেশনে বসল স্ক্রিনডোর ]
পুলিশ জানিয়েছে, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দি ও ডাকাতিতে অভিযুক্ত মহম্মদ রেজ্জাক ওরফে রাজাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আলিপুর জজ কোর্টে। যাদবপুরে একটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত সে। তার তিন সঙ্গী রহিম আলি, মোবারক হালদার ও মহম্মদ নজরুল ইসলাম আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময়ই পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে পালানোর ছক কষে সে। স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই তার মামলার শুনানি ছিল। কোর্ট রুমে শুনানির শেষে কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে। যাওয়ার সময় পুলিশকর্মীর কাছে দাঁড়িয়ে আখের রস খায়। হঠাৎই পুলিশকর্মীর চোখে সে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে দেয়। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন পুলিশকর্মী। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ায় সে। কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল গাড়ি। তাতে করেই উধাও হয়ে যায় সে।
গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তার ডেরাগুলিতে তল্লাশি চালান। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। নজরদারি চালাতে গিয়েই গোয়েন্দারা রেজ্জাকের এক বান্ধবীর সন্ধান পান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই তরুণীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, সে রেজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছে। রেজ্জাক বান্ধবীকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। সেই সূত্র ধরে ছদ্মবেশে গোয়েন্দারা তার পিছু নেন। তাতেই নোদাখালিতে রেজ্জাকের গোপন ডেরার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। সে পালানোর চেষ্টা করার আগেই বাড়িটি ঘিরে নেওয়া হয়। পুলিশ জেনেছে, জেলে বসেই পালানোর ছক কষে সে। সেইমতো তার বান্ধবী ও নিজের লোকেদের গাড়ি ও গা-ঢাকা দেওয়ার জায়গা তৈরি রাখতে বলে। এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ অটল আবেগে শান গেরুয়া শিবিরের, কলকাতায় মূর্তির দাবি বঙ্গ বিজেপির ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.